বাবা সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পুজোর মরশুমেই মুক্তি পেয়েছে দেবী চৌধুরানী, যেখানে ভবানী পাঠকের চরিত্রে প্রসেনজিতের অভিনয় প্রশংসিত। কলকাতায় একাধিক পুজোর উদ্বোধন সহ বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া থাকে, তাই শহর ছেড়ে নড়ার উপায় নেই অভিনেতার। যদিও এই বছরের পুজো শহরে একাই কাটিয়েছেন তিনি। কারণ স্ত্রী অর্পিতা ও ছেলে তৃষাণজিৎ মুম্বইতে। সেখানে বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পুজো কাটালেন মা-ছেলে। যার ঝলক পাওয়া গেল সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।
মুম্বইতেই থাকেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। জুহুতে বহু বছর ধরে দুর্গাপুজোর আয়োজন করে আসছেন তিনি। সেখানেই দেখা গেল পুত্রবধূ অর্পিতা ও নাতি তৃষাণজিৎকে। পুজোর দিনগুলো দাদুর সঙ্গেই কাটালেন নাতি তৃষাণজিৎ ওরফে মিশুক। নাতির জন্য বিশেষ যজ্ঞেরও জিৎআয়োজন করেছিলেন বিশ্বজিৎ। সেই ভিডিও পোস্ট করেছেন অর্পিতা। প্রসেনজিৎ-পুত্র নিষ্ঠা সহকারে যজ্ঞের সব আচার-অনুষ্ঠান করলেন। মা অর্পিতাকে দেখা গেল আগুনের তাপ দিতে ছেলের মাথায়।
এবার তারকা দম্পতির ছেলে তৃষাণজিৎ-ও টলিউডে পা রাখতে চলেছেন খুব শীঘ্রই। শোনা যাচ্ছে, ঠাকুরদা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, বাবা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং মা অর্পিতার পথে হেঁটেই ফিল্মি দুনিয়ায় অভিষেক করতে চলেছেন তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায়। জানা গেল, বাংলা চলচ্চিত্র জগতের ‘আইকন’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র, তৃষাণজিৎ ওরফে মিশুক পা রাখতে চলেছেন বড় পর্দায়। তাঁকে সেলুলয়েডে আনছে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ। সব কিছু ঠিকঠাকভাবে এগোলে এবছরই শুরু হতে চলেছে শ্যুটিং। আর তার আগেই মা দুর্গার আশীর্বাদ নিতে তৃষাণজিতের জন্য বিশেষ যজ্ঞের আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক ধরে বাতাসে খবর ভাসছিল যে, সিনেমায় হাতেখড়ি হচ্ছে প্রসেনজিৎ-পুত্রের। কিন্তু এ নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। তবে সম্প্রতি পুজোর আগে, ‘দেবী চৌধুরাণী’ ছবির প্রচারের সময় মিশুকের অভিনয়ে আসার প্রসঙ্গ উত্থাপন হলে অস্বীকার করেননি প্রসেনজিৎ। যদিও জানাননি পরিচালক বা প্রযোজনা সংস্থার নাম। নাতির সিনেমায় আসার সিদ্ধান্ত উপলক্ষে ঠাকুরদা তাঁর নামে এবছরের দুর্গাপুজোয় বিশাল যজ্ঞের আয়োজন করেছেন। আর সেই যজ্ঞের অনুষ্ঠানে মা অর্পিতার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন তৃষাণজিৎও।
প্রতি বছরই অবশ্য মুম্বইয়ের পুজোয় অংশ নেন অর্পিতা। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সমস্ত কিছু দেখাশোনা করেন তিনি। এবছরের পুজোয় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক রাকেশ রোশন। সপরিবারে এসেছিলেন তিনি। অর্পিতাকে দেখা গেল নিজে দাঁড়িয়ে শ্বশুরমশাইকে ভোগ পরিবেশন করলেন তিনি। পুজো কাটিয়ে তবেই কলকাতায় ফিরবেন অর্পিতা ও তৃষাণজিৎ।