প্রত্যেক বছরই টলিউডের ব্যস্ততম পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বাগদেবীর আরাধনা করে থাকেন। এই বছরও দক্ষিণ কলকাতায় রাজের প্রযোজনা সংস্থার অফিসেই সরস্বতী পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর সেই পুজো নিয়েই রবিবার ব্যস্ত পরিচালক ও তাঁর ঘরণী শুভশ্রী। রাজ-শুভশ্রীর এই পুজোতে টলিউড ও সিরিয়াল পাড়ার তারকাদের উপস্থিতি সব সময়ই নজর কাড়ে। আর রাজের সরস্বতী পুজোর মেনুর দিকে তাকিয়ে থাকেন সবাই। এই বছর কী কী ছিল মেনুতে?
রাজ-শুভশ্রীর সরস্বতী পুজোর মেনুতে ছিল এলাহি বন্দোবস্ত। খিচুড়ি, লাবড়া, আলুর দম, কচুরি, ছোলার ডাল, কুলের চাটনি, মিষ্টি। প্রতি বছরই এই রকমই মেনু থাকে। এদিন রাজের অফিস থেকে কেউই খালিপেট যেতে পারেন না। রাজ-শুভশ্রী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অতিথি অ্যাপায়ন করেন। শুভশ্রী এদিন পুজোতে সেজেছিলেন হালকা নীল রঙের শাড়িতে। রাজের পরনেও ছিল গাঢ় নীল রঙের পাঞ্জাবি। পুজোতে রাজের দিদি ও বোনঝি সৃষ্টিও ছিলেন। ইউভান আসলেও তবে দেখা যায়নি ইয়ালিনিকে।
রাজের অফিসের পুজো মানেই চাঁদের হাট সেখানে। আমন্ত্রিতদের তালিকা যে বেশ দীর্ঘ হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কৌশানি মুখোপাধ্যায় এবং বনি সেনগুপ্তকে এখানে বাগদেবীর আরাধনায় মাতেন। রাজ-শুভশ্রীর সঙ্গে অঞ্জলি দেন তাঁরা। এসেছিলেন আবীর চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী নন্দিনী, রোহন ও অঙ্গনা, সদ্য বিবাহিত জুটি আদৃত ও কৌশাম্বীকেও দেখা গিয়েছিল এই পুজোতে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রোশনি ভট্টাচার্য, ঊষসী রায় সহ গোটা গৃহপ্রবেশ-এর টিম। এসেছিলেন মানালি ও অভিমন্যুও।
আড্ডা, হইচইয়ের মধ্যে দিয়েই এবারের সরস্বতী পুজো পালন করলেন রাজ শুভশ্রী। ২০১০ সাল থেকে রাজ চক্রবর্তী সরস্বতী পুজোর আয়োজন করে আসছেন তাঁর অফিসে। সব মিলিয়ে দেদার খানাপিনা, হই-হুল্লোড়ে জমে উঠেছিল রাজ-শুভশ্রীর বাগদেবীর আরাধনা। ডায়েট ভুলে এদিন ভোগের মেনুতে কামড় বসালেন সকলেই।
প্রসঙ্গত, শুভশ্রীকে আগামিতে দেখা যাবে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর একটি ছবিতে। যেখানে থাকছেন জিতু কমল। এছাড়াও সৃজিতের বিনোদিনী হিসাবে দেখা মিলবে তাঁর। ছবির নাম লহ গৌরাঙ্গের নাম রে।