Advertisement

Sudipa Chatterjee: 'আমার কাছে দু'বার করে আসে', কার ডাকে সকালে ঘুম ভাঙে সুদীপার?

Sudipa Chatterjee: টেলিপাড়ায় পরিচিত নাম সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। যিনি রান্নাঘর-এর সঞ্চালিকা হিসাবে বহু বছর কাজ করেছেন। তবে এখন টেলিভিশন থেকে বেশ কিছু বছর দূরেই রয়েছেন সুদীপা। নিজের পরিবার, ছেলে ও ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। সুদীপা যে কতটা পোষ্য ভালোবাসেন, তা নতুন করে বলার কিছুই নেই।

সুদীপা চট্টোপাধ্যায়সুদীপা চট্টোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 16 Jul 2025,
  • अपडेटेड 1:22 PM IST
  • টেলিপাড়ায় পরিচিত নাম সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।

টেলিপাড়ায় পরিচিত নাম সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। যিনি রান্নাঘর-এর সঞ্চালিকা হিসাবে বহু বছর কাজ করেছেন। তবে এখন টেলিভিশন থেকে বেশ কিছু বছর দূরেই রয়েছেন সুদীপা। নিজের পরিবার, ছেলে ও ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। সুদীপা যে কতটা পোষ্য ভালোবাসেন, তা নতুন করে বলার কিছুই নেই। তাঁর বাড়িতে রয়েছে একটি বেড়াল ও কুকুর। কিছু বছর আগেই সুদীপা হারিয়েছিলেন তাঁর প্রিয় পোষ্যকে। সেই সময় তিনি মানসিকভাবে খুবই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। এরই মাঝে সুদীপা জানালেন যে প্রতিদিন সকালে তাঁর সঙ্গে এক বিশেষ অতিথি দেখা করতে আসে। 

সম্প্রতি সুদীপা একটি ছবি পোস্ট করেছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি টিয়া পাখি বসে রয়েছে গাছের ওপরে। সুদীপা এই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে পুরো গল্পটি জানিয়েছেন। সুদীপা লেখেন, 'এই ছবিটি আমার শোওয়ার ঘর থেকে নেওয়া। এটা মিঠু, আমার বাচ্চা টিয়া পাখি। মিঠুকে আহত অবস্থায় ভগবান আমার কাছে পাঠিয়েছিল, ওকে ওষুধ ও যত্ন করার পর আমি ওকে স্বাধীনতা দিই, যেটা ওর প্রাপ্য। তার বদলে মিঠু আমার কাছে আসে দিনে দু'বার করে।' সুদীপা এও বলেন, টআমায় ঘুম থেকে জাগায় আর দুপুরবেলা সেইদিনের জন্য বিদায় জানিয়ে চলে যায়। মিঠু আমার কাছে প্রাতঃরাশ ও দুপুরের খাবার খায় বারান্দাতেই আর নিজের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আমার বাড়ির বিপরীতে থাকা গাছে থাকতে পছন্দ করে।'

সুদীপা এরপর বলেন, 'মিঠু আমার একটা শিক্ষা দিয়েছি। নিজের ভালোবাসাকে আঁকড়ে রেখো না। তাকে স্বাধীনতা দাও, দেখবে সে তোমার কাছে ফিরে এসেছে। যদি না আসে, তাহলে বুঝবে সে তোমার ছিল না। এটা একতরফা ভালোবাসা ছিল।' সুদীপার পোষ্যপ্রেম যে কতটা তা সব সময়ই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুন মাসে পোষ্য ভানুভূষণ সুদীপাকে ছেড়ে চলে যায় ৷ ভানু চলে যাওয়ার পর অবসাদ গ্রাস করেছিল সুদীপাকে। সুদীপার মন একটু ভালো করার জন্য তাঁদের জীবনে এসেছে ভান্টু। তবু এখনও প্রতিটা মুহূর্তে প্রতিটা ক্ষণে এখনও ভানুকেই মনে পড়ে সুদীপার। 

Advertisement

গ্রেট ডেন প্রজাতির সারমেয় ভানু একদম ছোট্ট থেকে চট্টোপাধ‍্যায় পরিবারে বড় হয়ে উঠেছিল। তাই সবার নয়নের মণি হয়ে উঠেছিল সে। ভানুর জন্মদিনে প্রতিবছরই আবেগঘন হয়ে পড়েন সুদীপা। সুদীপা এবং তাঁর গোটা পরিবারই পোষ্যপ্রেমী। কিছুদিন আগেই ভান্টুর সঙ্গে খেলতে গিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায় সুদীপার ছেলের সঙ্গে। ছোট্ট আদির কপালে ভান্টুর দাঁত বসে যায়, রক্ত বন্ধই হতে চাইছিল না। পরে ডাক্তারের কাছে গেলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। যদিও এইসবের পরও ভান্টু ও আদির বন্ধুত্বে ভাঁটা পড়েনি একটুও। 

Read more!
Advertisement
Advertisement