৯ অগাস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচার চেয়ে আন্দোলন চলছে। একাধিক প্রতিবাদ ও আন্দোলনে দেখা গিয়েছে টলিউডের তারকাদের। অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাও প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায়, রাস্তায় এই আন্দোলন করে চলেছেন। সকলের মতো তিনিও চান যাতে বিচার পাক নির্যাতিতা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল শুনানি। আর কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। যেটা নিয়ে একেবারেই অখুশি ছিলেন সকলে। তার ওপর এইদিনই উৎসবে ফিরে আসার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবকিছু মিলিয়ে অঙ্কুশ লিখলেন তাঁর মন ভাল নেই।
অঙ্কুশ যে পোস্টটি শেয়ার করেছেন সেখানে তিনি লেখেন, আর ভাল লাগছে না। মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়ে গর্ব বোধ করব না ঘৃণা বোধ করব বুঝতে পারছিনা। মেয়েটির মা বাবা বলছেন ওনারা একটি মেয়ে হারিয়েছেন কিন্তু হাজার হাজার ছেলে মেয়ে পেয়েছেন। এই ভাবনাটি যেন ভেঙে চুরমার না হয়ে যায়। অভিনেতার এই পোস্টকে অনেকেই সমর্থন করেছেন। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এর আগেও সরব হয়েছিলেন অঙ্কুশ। ঘটনার পরে একটি পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, দ্রুত সুবিচারের আশা রাখলাম। মনে রাখবেন, যে কোনও মানুষ নিজেকে তখনই প্রভাবশালী মনে করেন, যখন সামনের মানুষটি দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই আর দুর্বল হব না আমরা। লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ যাঁরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জানেন, তাঁদের থেকে বেশি শক্তিশালী ও প্রভাবশালী যে আর কেউ হয় না সেটা দেখানোর সময় এসে গিয়েছে।
১৪ অগাস্টে রাত দখলের কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা দুজনকেই। শুধু তাই নয়, টলিপাড়ার প্রতিবাদ মিছিলেও সামিল ছিলেন অঙ্কুশ। যদিও অঙ্কুশকে এই পোস্টগুলিতে ট্রোল করা হয়েছে চরমভাবে। অভিনেতাকে চটি চাটা বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar News) প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদে তাঁদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রোজ রাস্তায় নামছেন সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন, গলার সুর চড়িয়েছেন তারকারাও।
অন্য়দিকে কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে ফিরলে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য সরকার। যদি এর পরেও তাঁরা কাজে যোগ না দেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।