Advertisement

Rituparna Sengupta: 'ওরা গুন্ডা ছিল, গুন্ডামি করতেই এসেছিল', শ্যামবাজারে হেনস্থা নিয়ে মুখ খুললেন ঋতুপর্ণা

Rituparna Sengupta: আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে শ্যামবাজারে রাত দখলের কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আর সেখানে গিয়ে তাঁকে হেনস্থা হতে হয় চরমভাবে। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। সেপ্টেম্বরে শ্যামবাজারের এই কর্মসূচিতে ঋতুপর্ণা যাওয়ার ফলে প্রথমে তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান ও পরে তাঁকে হেনস্থা করা হয়, পরিস্থিতি বিগড়োতে দেখে ঋতুপর্ণা সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হন।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
সানা ফারজিন
  • মুম্বই,
  • 22 Oct 2024,
  • अपडेटेड 1:17 PM IST
  • আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে শ্যামবাজারে রাত দখলের কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে শ্যামবাজারে রাত দখলের কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আর সেখানে গিয়ে তাঁকে হেনস্থা হতে হয় চরমভাবে। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। সেপ্টেম্বরে শ্যামবাজারের এই কর্মসূচিতে ঋতুপর্ণা যাওয়ার ফলে প্রথমে তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান ও পরে তাঁকে হেনস্থা করা হয়, পরিস্থিতি বিগড়োতে দেখে ঋতুপর্ণা সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হন। আর এইসব নিয়েই ইন্ডিয়া টুডে-র সামনে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। ঋতুপর্ণা তাঁর সঙ্গে ঘটা হেনস্থা প্রসঙ্গে বলেন যে তাঁর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা বাইরের লোকই করেছে আর তারা কোনওভাবেই প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ ছিল না। যদিও অভিনেত্রীর সঙ্গে হওয়া এই হেনস্থা তাঁকে কোনওভাবেই দমাতে পারেনি। তিনি আজও মনে-প্রাণে আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের শাস্তি চান।  

কলকাতায় তাঁর সঙ্গে হওয়া চরম অপমান নিয়ে ঋতুপর্ণা বলেন যে সেই সময়টা তিনি মানসিকভাবে খুবই বিধ্বস্ত হয়েছিলেন। ঋতুপর্ণা বলেন, 'এটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর কখনও না ঘটে। যদিও এই ঘটনার জন্য কলকাতা শহরকেও নিন্দার মুখে পড়তে হয়। তবে এর ফলে প্রতিবাদ আরও জোরালো হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা এখানে ঘটবে তা ভাবাই যায় না। একজন মহিলা যদি তাঁর কর্মস্থলে নিরাপদ না থাকে, তাহলে কোথায় সে সুরক্ষিত? আমার নির্যাতিতার মা-বাবার প্রতি পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে, ওই মেয়েটি কতটা ভয়ানক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। আমরা কখনই এটা বরদাস্ত করব না এবং একজন কলকাতার বাসিন্দা হিসাবে আমরা বিচাই চাই। এই ধরনের ঘটনা আর কখনই যেন না ঘটে', বলে জানান প্রাক্তন অভিনেত্রী। একদিকে যখন আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সোচ্চার না হওয়ার কারণে কিছু টলিউড তারকাকে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তেমনি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে গিয়ে চরম অপমানিত হয়েছেন ঋতুপর্ণা। তবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন এইসব কিছু তাঁকে বিচলিত করতে পারেনি বরং তিনি যেটায় বিশ্বাসী সেইদিকেই এগিয়ে গিয়েছেন।  

Advertisement

শ্যামবাজারে তাঁর সঙ্গে ঘটা হেনস্থা প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেন, 'আমি যখন জানি যে যারা আমার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ওই কর্মসূচির অংশই নয় তাই এটা আমাকে অতটা ভাবিয়ে তোলেনি। তারা গুণ্ডা ছিল, গুণ্ডামি করতে এবং মানুষকে বিব্রত করতেই এসেছিল। তারা আন্দোলনকারীদের উস্কাতে এবং আন্দোলনের দখল নিতেই সেখানে এসেছিল। তারা সেলেবদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল শুধু ২ মিনিটের জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য। তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল আর নিজেরাও জানে না যে কী করছে। কিন্তু এত ছোট, সস্তার কাজ করে আপনি বড় কিছু অর্জন করতে পারবেন না।' ঋতুপর্ণা আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরের দিনই আমার খোঁজ-খবর নিতে ফোন করেছিলেন। যদিও আমি তাকে আশ্বস্ত করেছিলাম যে এটি একটি বহিরাগত গ্যাংয়ের কেউ ছিল যারা আন্দোলনকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। তারা শুধু এসেছিল ঝামেলা পাকাতে। আমাদের তাদের উপেক্ষা করতে হবে এবং বড় বিষয়গুলিতে ফোকাস করতে হবে। আমাদের শুধু ওই নির্যাতিতার বিচার চাই।'   

প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর কার্নিভালে কলকাতা পুলিশের পুজোতে ঋতুপর্ণা ট্রোল হন তাঁর পারফর্ম্যান্সের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়া ভরে যায় ট্রোলিংয়ে। এই নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, 'পুলিশের পক্ষ থেকে আমায় এই কার্নিভালে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। যদিও এই পারফর্ম্যান্সের পর অনেকেই আমার নাম রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেন। যদিও আমি অরাজনৈতিক ব্যক্তি আর আমি আমার শহরের যে কোনও ঘটনার জন্য দাঁড়াতে পারি। আমাকে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে তেমনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষকৃত্যেও দেখা গিয়েছে। এটা ভেবে মজা লাগছে যে কীভাবে লোকেরা আপনাকে নীচে নামানোর চেষ্টা করছে।' প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক কর্তব্যরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। যা নিয়ে কলকাতা সহ গোটা দেশ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। নির্যাতিতার বিচারের পাশাপাশি মহিলাদের সুরক্ষা ও চিকিৎসকরাও সরব হন এই আন্দোলনে। একে-অপরের প্রতি দোষারোপের সঙ্গেই সাধারণ মানুষ চাইছে এই ঘটনার বিচার।   

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: সানা ফরজিন

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement