
দেব ও রুক্মিণী মৈত্রের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছে। টলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন তাঁদের সম্পর্কে নাকি দুরত্ব বেড়েছে। আর তা নিয়েই চলছে চর্চা। যদিও দেব বা রুক্মিণী এ প্রসঙ্গে কেউই মুখ খোলেননি। তবে শোনা যাচ্ছে জল বেশ অনেকটাই গড়িয়েছে। আর এমন আবহে শহরজুড়ে পোস্টার, পাত্র চাই। তাও আবার রুক্মিণীর জন্য। শহরের বেশ কিছু জায়গাতেই এই পোস্টার দেখা যাচ্ছে। যেখানে নায়িকার জন্য পাত্র চাই বলে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তাহলে কি দেব-রুক্মিণীর ব্রেকআপ?
টলিপাড়ার সুন্দরী তন্বী নায়িকা বলে কথা। তারওপর হাসলে টোল পড়ে দুই গালে। তাঁকে দেখে যে কোনও পাত্রেরই পছন্দ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু রুক্মিণীর জন্য ঠিক কেমন পাত্রের খোঁজ করা হচ্ছে ? নায়িকার সেই পোস্টার অনুযায়ী পাত্রকে হতে হবে কলকাতা নিবাসী, শিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত এবং অবশ্যই সুপাত্র। আর এরকম কোনও পাত্রের সন্ধান থাকলে তাড়াতাড়ি যোগাযোগ করতে পারেন পাত্রীর বাবা দীপক চক্রবর্তীর সঙ্গে। কিন্তু এ কথা তো কারোর অজানা নয় যে রুক্মিণীর বাবা মারা গিয়েছেন। তাহলে এই দীপক চক্রবর্তী কে?
বিষয়টি নিয়ে যতটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে আলোচনা হচ্ছে, ততটা কিন্তু কেসটা জটিল নয়। দীপক চক্রবর্তী হলেন চিরঞ্জিত, যিনি রুক্মিণীর পরবর্তী ছবি হাঁটি হাঁটি পা-এর অনস্ত্রিন বাবা। আর এই ছবিতেই রুক্মিণীর পাত্র জোটাতে মরিয়া পর্দার বাবা চিরঞ্জিত। যে কোনও ছবির ক্ষেত্রে প্রচার কৌশল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর রুক্মিণী ও তাঁর টিম এবং এই ছবির প্রচার কৌশলীতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা খুব বুদ্ধির সঙ্গে গোটা শহর জুড়ে এই পোস্টার ছড়িয়ে পড়েছে। তাই ছবির প্রচার 'হটকেক' করতে গিয়েই এখন শহরজুড়ে রুক্মিণীর সারি সারি পোস্টার।
রুক্মিণীর সেরকমই এক ছবিতে দেবকেও কমেন্ট করতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি গোয়ায় ৫৬তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দেন রুক্মিণী। লাল গালিচায় দাঁড়িয়ে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে জানান স্বপ্নপূরণের অনুভূতি। সেই পোস্টেই দেবের মন্তব্য নজর কাড়ে—“তোমার জন্য গর্বিত। আর হ্যাঁ, আমিও পাত্রী খুঁজছি আমার জন্য!” তবে এটা নিছকই দেবের রসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। দেব ও রুক্মিণীর মধ্যেকার সম্পর্ক আগের মতোই ভাল আছে।