
Sahitya Aaj Tak 2025-এর মঞ্চে প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গকে নিয়ে আবেগে ভাসলেন পাপন ও গায়িকা জুবলি বড়ুয়া। জুবিনের সঙ্গে কাটানো বেশ কিছু মুহূর্তের কথা তাঁরা ভাগ করে নেন সাহিত্য আজতক-এর মঞ্চে। জুবিনকে নিয়ে একের পর এক স্মৃতি ভাগ করে নেন অসমের এই দুই সঙ্গীত শিল্পী। প্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে প্রয়াত হন জুবিন।
জুবিন সব সময়ই মাটির সঙ্গে জুড়ে থাকতে ভালোবাসতেন। শুধু তাই নয়, গানই ছিল গায়কের জীবন। আর এই নিয়ে কথা বলতে বলতে জুবিনের বন্ধু পাপন বলেন, আমরা এমন একজনকে হারিয়েছি যে খুব আপন ছিল, নিজের লোকেদের হারানোর দুঃখ তখনই বোঝা যায় যখন কেউ হারিয়ে যায়। পাপন বলেন, আমার মতো জুবিনও তাঁর মাকে হারিয়েছেন ১৯৯৮ সালের আশপাশে। আমি এই খবর শোনার পর জুবিনের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর স্টুডিওতে যাই। সেই সময় জুবিন গান তৈরি করছিলেন। একদিন আগেই মা মারা গিয়েছে তাঁর আর পরের দিনই গান তৈরি করছে জুবিন। এটাই সঙ্গীতকারের জীবন। the show mut go on। জুবিন রাতদিন গানের মধ্যেই থাকতেন বলেও জানান পাপন। জুবিনের মতো তিনিও তাঁর বাবাকে হারানোর ১৪ দিনের মধ্যে ইউএস ট্যুরে গিয়েছিলেন।
পাপনের সঙ্গে Sahitya Aaj Tak-এর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অসমিয়া গায়িকা ও প্রয়াত গায়কের মঞ্চ সঙ্গী জুবলি বড়ুয়া। তিনি জুবিনকে নিয়ে মজার কথা শেয়ার করেন এই মঞ্চে। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই লুসি শব্দটি শোনা যায়, আসলে লুচিকে অসমে লুসি বলা হয়ে থাকে। জুবলি বলেন, বিহুর সময়ে এসমে প্রচুর শো হয়ে থাকে। আর জুবিন দা রাস্তার দোকানে খেতে খুবই পছন্দ করতেন। সেখানেই খুব ভাল লুসি পাওয়া যেত। জুবলি বলেন, পুরো ব্যান্ডের সদস্যরাও যদি খেত তাহলে ১০০০ টাকার বেশি বিল হতো না। কিন্তু জুবিন দা পকেটে হাচ ঢুকিয়ে যা পেত, সেটা ১০ হাজারও হতে পারত, তা দোকানদারকে দিয়ে দিত। গায়িকা আরও জানিয়েছেন যে জুবিনের বাড়িতে কেউ সাহায্য চাইতে গেলে নিরাশ হয়ে ফিরতেন না। প্রয়াত গায়কের দিল দরিয়া মনের উদাহরণ রয়েছে প্রচুর। কখনও রাস্তায় দুর্ঘটনায় আহত রক্তাক্ত অচেনা যুবককে হাসপাতালে পাঠিয়ে তার পুরো চিকিৎসার খরচ বহন করা অথবা কারোর হাতের অপারেশনের দায়িত্ব নেওয়া। এমনই ছিলেন প্রয়াত গায়ক জুবিন।
শেষে তাঁর গাওয়া গান গেয়ে শ্রদ্ধা জানান পাপন ও জুবলি। শুধু তাই নয়, মায়াবিনী গান দিয়ে গায়কের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সাহিত্য আজ তক তিন দিনের একটি মহোৎসব। ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই অনুষ্ঠান। যা চলবে ২৩ নভেম্বর, রবিবার পর্যন্ত। সাহিত্য আজতক চলছে মেজর ধ্যানচাঁদ জাতীয় স্টেডিয়ামে।