Advertisement

Sahitya Aaj Tak 2025: জীবন ঠুনকো, সম্পর্কগুলির লালনপালন খুব দরকার, সাহিত্য তারই মাধ্যম: কলি পুরী

আজ অর্থাত্‍ শুক্রবার সাহিত্য আজতক এর শুভ সূচনা করলেন ইন্ডিয়া টুডে গোষ্ঠীর ভাইস চেয়ারপার্সন কলি পুরী। প্রথমেই তিনি জানালেন, ব্রেকিং নিউজ মোড থেকে বেরিয়ে বিদায়ী ২০২৫ সালের দিকে একবার ফিরে তাকানোর পালা এবার। তাঁর কথায়, '২০২৫ সালটি কভি খুশি, কভি গম'। 

Kalli Purie - Vice chairperson , India Today Group, Photo Credit: Bandeep Singh, Group Photo Editor, India TodayKalli Purie - Vice chairperson , India Today Group, Photo Credit: Bandeep Singh, Group Photo Editor, India Today
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 21 Nov 2025,
  • अपडेटेड 2:08 PM IST
  • '২০২৫ সালটি কভি খুশি, কভি গম'।
  • শুভ সূচনা করলেন ইন্ডিয়া টুডে গোষ্ঠীর ভাইস চেয়ারপার্সন কলি পুরী
  • এবারও আপামর সাহিত্য অনুরাগীর ভিড় দিল্লির মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়ামে

শুরু হয়ে গেল সাহিত্য আজতক ২০২৫। সাহিত্য, কবিতা, সঙ্গীত, শিল্প চর্চার সবচেয়ে বড় মঞ্চ। Sahitya Aaj Tak শুরু থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয়। এবারও আপামর সাহিত্য অনুরাগীর ভিড় দিল্লির মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়ামে। এখানেই বসেছে সাহিত্য আজতক-এর আসর। আজ অর্থাত্‍ শুক্রবার সাহিত্য আজতক এর শুভ সূচনা করলেন ইন্ডিয়া টুডে গোষ্ঠীর ভাইস চেয়ারপার্সন কলি পুরী। প্রথমেই তিনি জানালেন, ব্রেকিং নিউজ মোড থেকে বেরিয়ে বিদায়ী ২০২৫ সালের দিকে একবার ফিরে তাকানোর পালা এবার। তাঁর কথায়, '২০২৫ সালটি কভি খুশি, কভি গম'। 

কলি পুরী বললেন, 'নমস্কার! সাহিত্য আজতক এর অষ্টম (৮তম) সংস্করণে আপনাকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি সত্যিই খুব খুশি। এই বছরের থিম প্রস্তুত করতে গিয়ে, আমরা আমাদের ব্রেকিং নিউজের ব্যস্ততা থেকে একটু বেরিয়ে এসে, গত বছরের দিকে একবার ফিরে তাকিয়েছি। কী বছরটাই না ছিল!যেখানে এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনায় দুশোরও বেশি যাত্রীর মৃত্যু হল, সেখানে একই বিমানে থাকা এক যাত্রী আগুনের মধ্যে দিয়েও বেঁচে ফেরেন। আর ঠিক সেই সময়েই, ১৯ জন ছাত্র, যাঁরা প্লেনে ছিলেনও না, হস্টেলে রুটিন নাস্তা করতে করতেই জীবন হারালেন। এক মুহূর্তে পহেলগাঁওয়ে স্বর্গে সন্ত্রাস আমাদের সবাইকে ভেঙে দিল। কয়েক দিন আগেই দিল্লির ‘১০/১১’ বিস্ফোরণের ঘটনায়, শুধু একটি রেড লাইটে থেমে থাকার জন্য কিছু নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হল।'

এখানেই তিনি তুলে ধরলেন মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গুরুত্ব। বললেন, 'এই সব আমাদের একটা কথাই শেখায়, জীবন পথচলা। কাল কী হবে, কেউ জানে না। আমাদের হাতে আছে শুধু এই মুহূর্ত, এই শ্বাসপ্রশ্বাস। জীবন যখন এতটাই ঠুনকো, তখন সম্পর্কগুলি তো মজবুত হওয়া দরকার। আর সম্পর্ক তৈরি হয় আমাদের গল্প দিয়ে, আমাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে। যেগুলিকে চিরঞ্জীবী করে রাখে সাহিত্য। প্রতিদিনের দৌড়ে আমরা ভুলে যাই জীবন কতটা অনিশ্চিত। এমন সময় সাহিত্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়, একটা সুপার পাওয়ার আছে, যা আমাদের সান্ত্বনা দেয়। সেই সুপার পাওয়ার হল, ভালোবাসা, প্রেম, মমতা, বন্ধুত্ব, ইশ্‌ক।' এই শক্তির অনুপ্রেরণায় এবারের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে বলেও জানালেন কলি পুরী।

Advertisement

আরও পড়ুন

বললেন, 'আমরা এনেছি, প্রেমের প্রতিটি অনুভূতির উৎসব, প্রেমের প্রতিটি রূপের উদ্‌যাপন। ঈশ্বরের জন্য, দেশের জন্য, প্রকৃতির জন্য, নিজের পোষ্যের জন্য, প্রিয়বন্ধুর জন্য, সহকর্মীর জন্য, সহমর্মীর জন্য, সহযাত্রীর জন্য আর নিজের ভেতরের সেই দেবত্বের জন্য। ছ’টি মঞ্চে হাজির থাকবেন ২০০র বেশি শিল্পী, লেখক, কবি, গায়ক, অভিনেতা, যাঁরা নাচ, গান, শব্দ আর অভিনয়ের মাধ্যমে এই অনুভূতিগুলিকে তাঁদের নিজের মতো করে তুলে ধরবেন। আর থাকবেন দু’জন অতিথি, একটি আমাদের ইলেকশন এক্সপ্রেস বাস, আর অন্যজন, আপনাদের ভিড়ের মধ্যেই থাকা সেই কবি, যিনি নিজের কবিতা শুনাবেন ‘মাইক কে লাল’এ।

এবছরের সাহিত্য আজতক-এ আরও একটি বড় ঘোষণা করলেন কলি পুরী বললেন, 'এই বছর আমরা এক মঞ্চে এক অনন্য মিশ্রণ করেছি, নতুন রাইজিং স্টারদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত সুপারস্টার, ভাইরাল তারকা আর সাহিত্যজগতের সময়-পরীক্ষিত নাম! সবাই এক প্ল্যাটফর্মে। আমাদের ইচ্ছে, এখানে যেন একটি স্বাস্থ্যকর দানপ্রদান হয়, যেখানে প্রাচীন শিল্পরূপ পায় নতুন ভাইরাল গতিবেগ, আর ইনস্টাগ্রামের তারকারা বুঝতে পারেন,  ধৈর্য আর কঠোর পরিশ্রমই কাউকে সময়ের পরীক্ষায় টিকিয়ে রাখে। ঠিক 'আজতক'র মতো। যিনি ইনস্টাগ্রামে দারুণ জনপ্রিয়, আর আবার ২৫ বছর ধরে তিনি তাঁর সংবাদ-ঐতিহ্যও আগলে রেখেছেন। এই বছর আজ তক সাহিত্য জাগৃতি সম্মান-এর তৃতীয় সংস্করণ। আটটি সম্মান,  ভারতীয় ভাষার অমূল্য রত্নদের। এবং এগুলি প্রদান করতে মঞ্চে আসছেন রাজ্যসভার ডেপুটি স্পিকার হরিবংশজি। যিনি নিজেও একজন লেখক, আর আমাদের সবার প্রেরণা।'

তিনি আরও বললেন, '২০২৪ ছিল নির্বাচনের বছর, আর ২০২৫ ছিল যুদ্ধ, অনিশ্চয়তা আর অঘটনের বছর। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের ভরসা ছিল,একে অপরের উপর। আমাদের কমিউনিটি, আমাদের একতা, আমাদের আপনতা,  সবথেকে বড় ওষুধের মতো ছিল। এই সম্পর্কগুলির মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক আছে, আপনার আর আজ তকের। ২৫ বছর ধরে আমরা একসঙ্গে এই দেশের গল্প দেখি, বুঝি, লিখি। সাহিত্য আজ তক সেই বন্ধনকে আরও শক্ত করে, আপনার বিশ্বাসকে সম্মান জানায়। তাই এইবারের অনুষ্ঠান এত ভালোবাসা দিয়ে সাজানো হয়েছে। আমরা আশা করি, আপনি তা মন দিয়ে গ্রহণ করবেন। এবং তিনটি দিন, সব দুশ্চিন্তা দূরে সরিয়ে রেখে, এই মুহূর্তগুলিকে মনে রাখবেন, আর মন খুলে বাঁচবেন… পরের সাহিত্য আজ তক পর্যন্ত! ধন্যবাদ।'

Read more!
Advertisement
Advertisement