চলছে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। বছরভর বিভিন্ন প্রান্তের সিনেমাপ্রেমীরা মুখিয়ে থাকেন,এই চলচ্চিত্র উৎসবের দিকে। ২০ থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে ঢাকার এই সিনেমার পার্বণ। এবছর উৎসবে বিশেষ অতিথি হয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন শর্মিলা ঠাকুর। বুধবার বিকালে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। ওপার বাংলার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন, টলিউড শিল্পীরা।
ঢাকার চলচ্চিত্র উৎসবে এবার প্রদর্শিত হয়েছে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'বিজয়ার পরে'। অভিজিৎ দাস পরিচালিত ও সুজিত রাহা প্রযোজিত এই ছবি এপার বাংলার যথেষ্ট প্রশংসিত। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছে অভিনয় করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, মমতা শংকর ও দীপঙ্কর দে। শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে, বুধবার, তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মমতা, স্বস্তিকা, অভিজিৎ ও সুজিত। সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। সোসাইটির সভাপতি আহমেদ মুজতবা জাবালও এদিন গণভবনে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সে দেশের জাতীয় সংসদের সদস্য শাহরিয়ার আলম। শোনা যাচ্ছে, দুই বাংলার ছবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এদিনের সাক্ষাতে।
এই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়জন করেছে রেনবো ফিল্ম সোসাইটি। ৯ দিনে জাতীয় জাদুঘর, শিল্পকলা একাডেমি অলিয়স ফ্রঁসেস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমি মিলনায়তনে ১০ ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে ৭৪টি দেশের মোট ২৫২টি সিনেমা প্রদর্শিত হবে। প্রথম দিনেই দর্শকের জন্য ছিল জয়া আহসান অভিনীত ইরানি সিনেমা 'ফেরেশতে'-র বাংলাদেশ প্রিমিয়ার। এরপরেই জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে দেখানো হয় বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত শ্যাম বেনেগালের ছবি 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার'।
উৎসবের সব প্রদর্শনী সবাই বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন। তবে আসন সংখ্যা সীমিত থাকায়, আগে এলে সুযোগটি তিনিই নিতে পারবেন বলে জানা যায়। বিভিন্ন দেশ ও ভাষার চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্যানারোমায় এ বছর রয়েছে মোট ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৪ বছর পর ফের টলিউড ছবিতে ফিরছেন শর্মিলা ঠাকুর। 'পুরাতন' নামের এই বাংলা ছবির শ্যুটিং করতে কিছুদিন আগে কলকাতায় বেশ কয়েক সপ্তাহ ছিলেন অভিনেত্রী। সুমন ঘোষ পরিচালিত এই ছবিতে শর্মিলা ছাড়াও রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তর মতো অভিনেতারা। অন্যদিকে 'বিজয়ার পরে' ছবিটি কলকাটায় মুক্তি পেয়েছে গত ১২ জানুয়ারি। এই বাংলায় প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়ে, ওপার বাংলাতেও দারুণ ভালোবাসা পায় ছবিটি।