টলিউড থেকে বলিউড— এই মুহূর্তে দেশের ব্যস্ততম প্লেব্যাক গায়কদের অন্যতম হলেন অরিজিৎ সিং। টলি-বলির শতকরা ৭০ ভাগ ছবিতেই তাঁর কণ্ঠস্বর, তাঁর গাওয়া গানে মুগ্ধ হন দেশের লক্ষ লক্ষ দর্শক। ছবি হিট হোক বা না হোক, অরিজিতের গাওয়া গান হিট হবেই!
সম্প্রতি সদ্য প্রয়াত বিখ্যাত প্লেব্যাক শিল্পী কেকের স্মরণে, তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ‘ইয়ারো দোস্তি’ গানটি মঞ্চে গেয়েছেন অরিজিৎ সিং। অরিজিতের গলায় ‘ইয়ারো দোস্তি’ গানটি শুনে স্বজন হারানোর মতো যন্ত্রণা আরও বেড়ে গিয়েছে কেকের ভক্তকুলের।
দেশজুড়ে বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও তাঁর সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য বারবার খবরের শীরনামে উঠে এসেছে অরিজিৎ সিং-এর নাম। কখনও হাওয়াই চটি পায়ে, চটকানো ট্রাউজার আর টি-শার্ট গায়ে ঘুরে বেড়াতে, বাজার করতে দেখা গেছে তাঁকে। হাসি মুখ, এক গাল দাড়ি, এলোমেলো চুলে সাধারণ মানুষের ভীড়ে অরিজিৎ যেন ওই ভিড়েরই অংশ।
কেন দাড়ি কাটেন না? কপিল শর্মার শো-এ অরিজিৎকে এমনই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। চূড়ান্ত ব্যস্ততার কারণেই কি দাড়ি কাটার সময় পান না? শিল্পীকে প্রশ্ন করেন কপিল। কপিলের প্রশ্ন শুনে প্রথমটায় হেসে ফেলেন অরিজিৎ। তার পর বলেন, “এটা একটা সিক্রেট। আজ বলেই দিচ্ছি... আমি বম্বেতে (মুম্বই) দাড়ি কাটি না। কারণ, এখানে অনেক বেশি টাকা লাগে।”
দেশের ব্যস্ততম প্লেব্যাক গায়কের উত্তর শুনে কিছুটা হকচকিয়ে যান কপিল শর্মা। অবাক হয়ে যান শো-এ উপস্থিত দর্শকরাও। যে শিল্পী গান গেয়ে রোজ লাখ লাখ টাকা আয় করছে, তাঁর দাড়ি কামানোর সময় টাকার হিসাব করতে হবে কেন! আসলে সঙ্গীত জগতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও অরিজিৎ সিং এখনও অত্যন্ত অনাড়ম্বর, ছাপোষা বাঙালি। তাই ৪০-৫০ টাকায় যেখানে বাংলার যে কোনও সেলুনে দাড়ি কাটানো যায়, সেখানে মুম্বইতে ওই একই কাজে ১৫০-২০০ টাকা (বা তারও বেশি) খরচ করতে যাবেন কেন অরিজিৎ! আর এই সহজ কথাটা সকলের সামনে বলতে তাই কোনও সংকোচও নেই শিল্পীর।