মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে নাকি ইমন চক্রবর্তীকে। সম্প্রতি এমন খবরই ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। অনেকেই গায়িকাকে ফোন করে খবরের সত্যতা জানতে চাইছেন। গায়িকা পুরো বিষয়টি প্রথমদিকে এড়িয়ে গেলেও, তাঁর বাব যখন খবরটি তাঁর থেকে জানতে চান, তখনই অস্বস্তি বোধ করেন ইমন। গোটা ঘটনাটি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা। কী লিখলেন ইমন?
বরাবরই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব হতে দেখা যায় ইমনকে। তিনি যথেষ্ট সাহসী বলেই টলিপাড়ায় জনপ্রিয়। তাই গায়িকার এমন খবর সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন তাঁর ভক্ত-অনুগামীরা। যদিও এই খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো। ইমন কোথাও কোনও জায়গায় তাঁকে মারধর করার মন্তব্য করেননি। এক পডকাস্টে তাঁর গান শেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে তিনি তাঁর শিক্ষকের কথা তুলে ধরেন, তিনি তাঁকে কীভাবে গানের পাঠ দিয়েছিলেন সেই কথাই তুলে ধরেন গায়িকা। আর সেই বিষয়টিকে নিয়েই এক খবরের মাধ্যম উল্টো খবর করে, যা নিমেষে ভাইরাল হয়। প্রথমদিকে এই খবরে পাত্তা না দিলেও এই খবর পৌঁছে যায় গায়িকার বাবার কাছেও। তিনি রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে মেয়ের কাছে সত্যিটা জানতে চান।
এবার আর চুপ করে থাকতে পারেননি গায়িকা। ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দেন ইমন। ‘আমাকে অনেকেই এই ছবিটি স্ক্রিনশট তুলে পাঠিয়েছে। ইগনোর করেছি। আজ সকালে আমার বাবা আমাকে এটা পাঠালেন। ইগনোর করতে পারলাম না। বিনোদনের নামে কোথাও গিয়ে ক্ষতি করে দিচ্ছেন না তো? ভেবে দেখতে বলব না। কারণ ভাবনা, বোধ কিছু থাকলে এভাবে খবর কেউ করে না।’ এই পোস্টে সংবাদমাধ্যকেও একহাত নিয়েছেন ইমন।
খবরটি এমনভাবে করা হয়েছে, যা দেখে হঠাৎ করে মনে হতেই পারে যে ইমনকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর স্বামী নীলাঞ্জন। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন যে এই ধরনের ভুয়ো খবরে গায়িকার বাবা কষ্ট পেয়েছেন। নীলাঞ্জন বুঝতেই পাচ্ছেন না এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ কেন চাপিয়ে দেওয়া হল। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুরকার নীলাঞ্জনের সঙ্গে বিয়ে করেন ইমন। তাঁদের সুখের সংসার। একে-অপরের প্রতি ভালোবাসা গভীর। তাও কেন এই ধরনের ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ল নেটপাড়ায়, তা বুঝতে পারছেন না ইমন ও নীলাঞ্জন।