আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রতিবাদে সরব হয়েছেন টলিউডের তারকারা। সেই দলেই ছিলেন গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী। ঘটনার প্রথম দিন থেকেই গায়িকা প্রতিবাদ-আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছেন। এছাড়াও লগ্নজিতার সঙ্গে নির্যাতিতা চিকিৎসকের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। গায়িকার গাওয়া গান আমাদের গল্পগুলো তরুণী চিকিৎসকের হবু স্বামীর ফোনের কলার টিউন ছিল। সেই কথা গায়িকা নিজেই জানিয়েছিলেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। তবে এবারও লগ্নজিতা সরব হলেন এই আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে। জানিয়ে দিলেন এবার আর বিচার চাওয়া নয়, দাবি করার সময় এসে গিয়েছে।
দেখতে দেখতে আরজি কর-কাণ্ডের ৪৯দিন অতিক্রান্ত। এরই মাঝে ঘটে গিয়েছে একাধিক ঘটনা। জুনিয়র চিকিৎসকেরা ধর্নামঞ্চ ছেড়ে চিকিৎসা পরিষেবায় ফিরে গিয়েছেন। পরিষেবা নিয়ে তাঁরা পৌঁছে যাচ্ছেন বন্যাপ্লাবিত অঞ্চলেও। আন্দোলন-প্রতিবাদ রাস্তাঘাটে দেখা গেলেও সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে তবে কি এবার সবকিছু থেমে যাবে। সাধারণ মানুষের এই প্রশ্নের জবাব দিলেন গায়িকা লগ্নজিতা। সম্প্রতি লগ্নজিতা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে একটি ভিডিও করে সকলের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন। জানিয়েছেন,'প্রত্যেক দিন শহরে কিছু না কিছু কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ ছাড়া, যাঁরা আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যাঁরা যুক্ত তাঁরা জানেন, আন্দোলন চলছে। পাশাপাশি, আরও দুটো পথ দেখিয়েছেন গায়িকা।
লগ্নজিতার কথায়, 'আর বিচার চাইবার সময় নেই। এবার বিচার দাবি করতে হবে। কারণ স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে ন্যায় বিচার পাওয়া আমাদের জন্মগত অধিকার।' প্রসঙ্গত, লগ্নজিতা নিজে এই আন্দোলনের শুরু থেকে আছেন। প্রত্যেকটি ধর্নামঞ্চ, অবস্থান, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে তাঁর উপস্থিতি সকলের নজর কেড়েছে। নির্যাতিতার জন্য বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমে তাঁর চোখেও জল দেখা গিয়েছে। লগ্নজিতার দাবি, 'আন্দোলন জারি রাখতে যা যা করণীয় ঘর থেকেই তার সূচনা হওয়া উচিত। দাবির কথাটা যাতে সারাক্ষণ আমাদের মনে থাকে তার জন্য যেখানে সুবিধে সেখানে কথাটা লিখে রাখা যেতেই পারে।' আর উদাহরণ স্বরূপ লগ্নজিতা বলেছেন, শাড়িতে বড় বড় হরফে 'উই ডিমান্ড জাস্টিস' লিখে রাখা যেতেই পারে। আসলে গায়িকা চান বিচার দাবি করার এই বিষয়টি সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক।
লগ্নজিতা তাঁর স্কুটারেও এরকম কিছু একটা লিখবে বলে ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছেন। যাতে সকলের নজরে পড়ে এই বিচার চাওয়ার দাবিটি। লেখাটি পড়ে যেন মনে রাখেন, আদতে প্রত্যেকের চাহিদা কী। কী কারণে ৪৯ দিন ধরে রাতদখল, পথদখল, আন্দোলন, প্রতিবাদে মুখর কলকাতা। এই দুই পন্থা দেখানো ছাড়াও লগ্নজিতার আরও বক্তব্য রয়েছে। তাঁর কথায়, “ইতিহাস বলছে, রাতারাতি বদল আনা যেমন সম্ভব নয় রাতারাতি বিচার পাওয়াও যায় না। তার জন্য ধৈর্য ধরতে হয়। অপেক্ষা করতে হয়। আরজি কর-কাণ্ডও তার ব্যতিক্রম নয়।