Advertisement

গানের পাশাপাশি অন্য ধারার উদ্যোগ! অচেনা শান্তিনিকেতনকে চেনাবে সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রার চারণ ফাউন্ডেশন

গানের পাশাপাশি অন্য ধারার কাজ করার তাগিদ থেকে "চারণ ফাউন্ডেশন" (Charan Foundation) তৈরি করলেন লোপামুদ্রা মিত্র (Lopamudra Mitra)। শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) অচেনা দিক নতুন করে চেনার সুযোগ করে দিচ্ছেন তিনি। আয়োজন হচ্ছে তিনদিনব্যাপী এক কর্মশালার (Workshop)। 

লোপামুদ্রা মিত্রলোপামুদ্রা মিত্র
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 02 Feb 2021,
  • अपडेटेड 11:41 AM IST
  • বিপুল অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছেন গ্রাম বাংলার শিল্প- সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা।
  • তাঁদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রের অন্য ধারার উদ্যোগ চারণ ফাউন্ডেশন।
  • মিলবে অচেনা শান্তিনিকেতনকে চেনার সুযোগ।

প্রায় দীর্ঘ এক বছর ধরে বিপুল অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছেন গ্রাম বাংলার শিল্প- সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। অতিমারীকালের এই অন্ধকারময় পরিস্থিতিতে শিল্পীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রের (Lopamudra Mitra) অন্য ধারার উদ্যোগ চারণ ফাউন্ডেশন। শান্তিনিকেতনে অচেনা দিক নতুন করে চেনার সুযোগ করে দিচ্ছেন তিনি। আয়োজন হচ্ছে তিনদিনব্যাপী এক কর্মশালার। 

গানের পাশাপাশি অন্য ধারার কাজ করার তাগিদ থেকে "চারণ ফাউন্ডেশন" (Charan Foundation) তৈরি করলেন লোপামুদ্রা মিত্র। আগামী ৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি শান্তিনিকেতনে হবে এই বিশেষ কর্মশালা। যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে আলপনার, সাঁওতালি নৃত্য, বাউল গান,ঘাসের গয়না তৈরির। 

এই রকম একটা অভিনব উদ্যোগের বিষয়ে লোপামুদ্রার কথায়, "অনেক দিন থেকেই গানের বাইরে অন্য কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল।আগে যেমন সহজ পরব করেছি।এবার মনে হল নিজের নামে নয়, কোনো সংস্থার মাধ্যমে কাজটা করি বাংলার সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারায় যুক্ত শিল্পীদের জন্য।নতুন প্রজন্মের নিজ সংস্কৃতি সম্পর্কে যে চর্চা করাটাও কতটা প্রয়োজনীয় সেই সব ভাবনা থেকেই চারণ ফাউন্ডেশন তৈরি করা।"

আরও পড়ুন

শান্তিনিকেতনের আশ্রমশিক্ষায় গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে আলপনার প্রচলন করেছিলেন, তা ছিল প্রকৃতিশিক্ষারই একটা রূপ। আচার্য নন্দলাল বসুর শিক্ষাদর্শে কিরণমালা দেবী, সুকুমারি দেবী, গৌরী ভন্জ, যমুনা দেবী, ননীগোপাল ঘোষ, এঁদের হাত ধরে আলপনার এই রীতি প্রায় বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়েছে।

পরবর্তীকালে সেই ধারা বহন করে আলপনারীতির সুযোগ্য শিল্পী হয়ে ওঠেন শ্রী সুধী রঞ্জন মুখার্জি। ১৯৭৬ এ সুধীদা জাতীয়বৃত্তি নিয়ে কলাভবনে আসেন। পরবর্তীকালে সেখানেই শিক্ষকতা করার সঙ্গে শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন ঋতু উৎসবে আলপনা দেওয়ার প্রধান কান্ডারী তিনি। এছাড়াও রবীন্দ্রনাট্যের পোষাক, অলঙ্কার, মন্চসজ্জাতেও তাঁর অবদান অনেক।


আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি  সকাল ১০টায় , শান্তিনিকেতনে সোনাঝুরি গেষ্ট হাউজ, যা দুর্গাবাড়ী নামে পরিচিত, সেখানে সুধী রঞ্জন মুখার্জি  আলপনা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং শেখাবেন।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement