Advertisement

Pratul Mukhopadhay: প্রয়াত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, ফের নক্ষত্র পতন সঙ্গীত জগতে

Pratul Mukhopadhyay: ৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন গায়ক।

প্রয়াত প্রতুল মুখোপাধ্যায়প্রয়াত প্রতুল মুখোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 15 Feb 2025,
  • अपडेटेड 11:48 AM IST
  • ৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়।

৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন গায়ক। বেশ কয়েক মাস ধরেই তিনি ভর্তি ছিলেন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। কয়েকদিন আগে হাসপাতালে গিয়ে শিল্পীর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮৩ বছর বয়সে মারা গেলেন কিংবদন্তি শিল্পী।

বাংলার সঙ্গীত জগতের অন্যতম উজ্জ্বল তারকা শিল্পী ছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। অবিভক্ত পূর্ববঙ্গে জন্ম, পরবর্তীতে এপার বাংলায় চলে আসেন। কিন্তু বাঙালিয়ানা আদ্যোপান্ত জড়িয়েছিল তাঁর সঙ্গে। তাঁর কণ্ঠে 'আমি বাংলায় গান গাই' আজও মুখে মুখে ফেরে। পাশাপাশি, 'ডিঙা ভাসাও সাগরে'ও অত্যন্ত পছন্দ অনুরাগীদের। গান গাওয়া, লেখা, সবেতেই নিজের প্রতিভার জাত চিনিয়েছেন। অন্ত্রের অস্ত্রোপচারের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রবীণ শিল্পী। সোমবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় আইটিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল তাঁকে। অবশেষে শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। 

কয়েকদিন তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যতদিন বাংলার কৃষ্টি থাকবে ততদিন থেকে যাবে তাঁর গাওয়া ‘আমি বাংলায় গান গাই’-এর মতো সব গান। শিল্পীর প্রয়াণ হলেও থেকে যাবে তাঁর অসামান্য সৃষ্টির মৌতাত। ১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্ম প্রতুলের। বাবা প্রভাতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। মা বাণী মুখোপাধ্যায় ও প্রতুলকে নিয়ে দেশভাগের পরে এপার বাংলায় চলে আসেন তিনি। থাকতে শুরু করে চুঁচুড়ায়। অল্প বয়স থেকেই কবিতায় সুর দিতেন প্রতুল। কবি মঙ্গলচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ কবিতা দিয়ে শুরু। নিজেও গান লিখতেন। অথচ প্রথাগত কোনও সঙ্গীতশিক্ষা তিনি নেননি। নিজের হৃদয় নিঃসৃত আবেগকেই সুর ও কথার মেলবন্ধনে বেঁধে ফেলতে শিখেছিলেন। 

যেভাবে আদিম মানব সহজাত ভঙ্গিতে গুহার নিঃসীম অন্ধকারে সুরের সাম্পানে পাড়ি দিত অচিন দেশে, সেভাবেই আজীবন প্রতুল নিজের হৃদয়ে জ্বালিয়ে রেখেছিলেন গানের প্রদীপ। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও চিকিৎসকদের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ শোনাতেন তিনি। তবে এই একটিই গান নয়, প্রতুল সারা জীবন ধরে অসংখ্য মণিমুক্তো সৃষ্টি করে গিয়েছেন। বাংলা আধুনিক গান থেকে জাপানি গান, আবার হিন্দি ছবির গান থেকেও উপাদান সংগ্রহ করেছেন। সৃষ্টি করেছেন একের পর এক গান।  জীবনের প্রথম অ্যালবাম ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮)। তবে সেটি একক অ্যালবাম নয়। অন্য শিল্পীদের সঙ্গে মিলে কাজ করতে হয়েছিল। এরপর ১৯৯৪ সালে ‘যেতে হবে’ প্রতুলের প্রথম একক অ্যালবাম। শেষ অ্যালবাম ‘ভোর’ (২০২২)। সেখানে সংকলিত হয়েছিল শিল্পীর অপ্রকাশিত গানগুলি।

Advertisement

তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ ছাড়াও ‘আলু বেচো’, ‘ছোকরা চাঁদ’, ‘তোমার কি কোনও তুলনা হয়’, ‘সেই মেয়েটি’, ‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ’-এর মতো গানও শ্রোতার মন জিতেছে বারবার। যতদিন বাঙালি শ্রোতা থাকবে এই পৃথিবীতে বেজে চলবে গানটি। থেকে যাবে সেই গানের অমোঘ অনুরণন। 

Read more!
Advertisement
Advertisement