
গত ৩১ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে প্রয়াত গায় জুবিন গর্গের শেষ ছবি ‘রই রই বিনালে’। গায়কের মৃত্যু নিয়ে যখন তোলপাড় অসম, ঠিক তখনই এই ছবি মুক্তি পায়। ছবি মুক্তির প্রথম দিন থেকেই রাজ্যজুড়ে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। জুবিন ভক্তেরা ফুল-মালা নিয়ে তাঁদের প্রিয় গায়কের সিনেমা দেখতে হলে আসেন। অসমের প্রতিটি হলই ছিল হাউসফুল। রাজেশ ভুঁইয়া পরিচালিত ও গরিমা গর্গ ও জুবিন প্রযোজিত এই ছবি অসমের ফিল্মি ইতিহাসে এটি ষষ্ঠ সর্বোচ্চ আয়কারী অসমীয়া ছবি হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
বক্স অফিস কালেকশন
স্যাকনিল্কের মতে, 'রই রই বিনালে' ষষ্ঠ দিনে আয় করেছে ১.৫ কোটি, সপ্তম দিনে ১.৩৩ কোটি, অষ্টম দিনে ১.০৬ কোটি, নবম দিনে ১.৩৯ কোটি এবং দশম দিনে এই ছবি ১.৫৪ কোটি টাকা আয় করেছে। দর্শকদের কাছে এই ছবির গ্রহণযোগ্যতা খুবই ভাল এবং অসমের সব হল প্রায় হাউসফুল।
বিশ্বজুড়ে কতটা আয় করল এই ছবি
স্যাকনিল্কের মতে, বিশ্বজুড়ে রই রই বিনালে আয় করেছে ১৭.৯৫ কোটি টাকা। ভারতে এই ছবি আয় করেছে এখনও পর্যন্ত ১৫.৪৭ কোটি টাকা। রই রই বিনালে ছবি মুক্তির আগে থেকেই তা নিয়ে গায়কের ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল দেখার মতো। ৩১ অক্টোবর রই রই বিনালে মুক্তি পাওয়ার দিনই দেড় কোটির ব্যবসা করে ফেলে। দর্শকদের বিপুল চাহিদার জেরে জুবিন গর্গের শেষ ছবির ধাক্কায় পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে বলিউড-দক্ষিণের তাবড় বাজেটের দুই সিনেমাও।
জুবিনের শেষ ছবি হিট
পাঁচ কোটি বাজেটের সিনেমা মনে করা হচ্ছে আরও বেশি টাকা আয় করবে। অসম ছাড়াও দেশের অন্যান্য রাজ্যেও দর্শকদের ভিড় দেখা গিয়েছে হলে। ‘রই রই বিনালে’র অর্থ ‘অশ্রু এখনও ঝরে’। আর সিনেমা দেখতে গিয়েই প্রয়াত জুবিন গর্গের জন্য দর্শকদের অশ্রুধারা বইছে। জুবিনের শেষ ছবির আপাতত ফলাফল ইঙ্গিত করছে খুব তাড়াতাড়ি বেশ বড়সড়ো রেকর্ড গড়তে চলেছে এই ছবিটি। এই সিনেমাটি যে বক্স অফিসে বেশ কয়েকটি বিগ বাজেটের ছবিকে পেছনে ফেলে দেবে, সেটা বলাই বাহুল্য।
ছবির সারাংশ
ছবিতে জুবিন অভিনয় করেছেন এক অন্ধ সংগীতশিল্পীর ভূমিকায়। রয়েছে তাঁর নিজস্ব সুরে ১১টি গান। এক শিল্পীর জীবনের সংগ্রাম ও অন্তঃজ্বালাই এই ছবির মূল কাহিনি। কলকাতার হলগুলিতেও জুবিনের শেষ ছবি দেখার ভিড় দেখা গিয়েছিল। ছবির শেষে সকলের চোখেই ছিল জল। জুবিন গর্গের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অসম সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ছবিটি থেকে রাজ্যের যে জিএসটি রাজস্ব আসবে, তা পুরোপুরি তুলে দেওয়া হবে শিল্পীর প্রতিষ্ঠিত ‘কলাগুরু আর্টিস্ট ফাউন্ডেশন’-এর তহবিলে। যা সমাজের অবহেলিত শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করে।