প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উত্তরবঙ্গের অবস্থা রীতিমতো শোচনীয়। ভারী বৃষ্টি, সঙ্গে ধস, নদীর অশান্ত রূপ, রাস্তা বন্ধ, ধ্বংসলীলা চলছে উত্তরবঙ্গে। বহু পর্যটক পুজোর সময় সেখানে ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়েছেন। শুধু তাই নয় মৃত্যু হয়েছে একাধিক জনের। এরকম অবস্থায় উত্তরবঙ্গের পাশে দাঁড়ালেন রুক্মিণী মৈত্র। বড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন লক্ষ্মীপুজোর দিনই।
পশ্চিমবঙ্গের পাহাড় বর্তমানে দুর্যোগের কবলে। ধস, হড়পা বান, নাগাড়ে চলা বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গিয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং জেলার বিস্তীর্ণ অংশ। ভেসে গিয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর, ভেঙে গিয়েছে রাস্তাঘাট। অসংখ্য মানুষ ঘরছাড়া। আশ্রয় নিয়েছেন ক্যাম্পে। উত্তরবঙ্গের এমন রূপ কেউ কোনওদিন দেখেননি। আর এরকম বিপদের সময় বড় সিদ্ধান্ত নিলেন রূক্মিণী মৈত্র। তাঁর এই সিদ্ধান্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ প্রশংসিত।
'নটী বিনোদিনী'র পর নায়িকাকে কেউ বড়পর্দায় আর দেখেননি। তাঁর পরবর্তী ছবি হাঁটি হাঁটি পা পা, যেখানে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা যাবে নায়িকাকে। লক্ষ্মীপুজোর দিনই এই সিনেমার টিজার আসার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়াতেও তা জানানো হয়েছিল। সকাল ১১টার সময় ছবির টিজার প্রকাশ্যে আসার কথা থাকলেও তা এল না। তার বদলে রুক্মিণী জানালেন অন্য কথা। দেবের প্রেমিকা লেখেন, ‘বন্যায় উত্তরবঙ্গে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ ছবির টিজার পিছিয়ে দেওয়া হবে। টিজার কবে মুক্তি পাবে সেটা আগামী সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।’ গোটা টিমের হয়েই রুক্মিণী এই কথা লেখেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
রুক্মিণী ও এই ছবির টিমের এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো আপ্লুত নেটিজেনরা। সকলেই রুক্মিণীর এই পোস্টে বাহবা জানিয়েছেন। কেউ লেখেন, অবশেষে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কেউ সত্যিকারের মানবিকতা দেখালেন। এই সিদ্ধান্ত প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। কেউ লেখেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কেউ তো উত্তরবঙ্গের বন্যা দুর্গতদের নিয়ে ভাবলেন। নয়তো বাংলার অংশ হয়েও মনে হয় যে অন্য রাজ্য বা দেশ। এতটাই উদাসীনতা দেখানো হয়।
এক অবাধ্য বাবা আর তার দায়িত্বশীল মেয়ের মান অভিমানের গল্প নিয়ে আসতে চলেছে এই ছবিটি। ইতিমধ্যেই হাঁটি হাঁটি পা পা ছবির প্রথম লুকস সামনে এসেছে। অনেকেই এই ছবির টিজারের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই ছবির নির্মাতারা ছবির টিজার পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।