রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাহিনী অবলম্বনে ১৯৫৭ সালে তৈরি হয়েছিল 'কাবুলিওয়ালা'। নাম ভূমিকায় ছবি বিশ্বাসের অভিনয় আজও চিরস্মরণীয়। সেই কাবুলিওয়ালা ফের তৈরি হতে চলেছে। সেই কাবুলিওয়ালা ফের তৈরি হতে চলেছে। যেখানে দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে। এই মুহূর্তে পরিচালক সুমন ঘোষ পরিচালিত এই ছবির শ্য়ুটিং চলছে কলকাতা শহরেই। যদিও 'কাবুলিওয়ালা' মানেই মনে পড়ে যায় আফগানিস্তানের কথা। সেখানে শ্যুটিং হওয়া বহুদিন থেকেই আলোচনা চলছে নির্মাতাদের মধ্যে। অবশেষে জানা গেল আউটডোর শ্যুটিং কোথায় হতে পারে।
আসলে 'কাবুলিওয়ালা' মানেই আফগানিস্তানের কথাই মনে পড়ে যায়। এই ছবির শ্যুটিং আদৌও আফগানিস্তানে করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছে নির্মাতাদের মধ্যে। আসলে প্রথমে শোনা গিয়েছিল যে আফগানিস্তানেই নাকি এই ছবির শ্যুটিং হতে পারে। পরে অবশ্য মত বদলায় ছবির প্রযোজক-পরিচালকরা। আসলে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একেবারেই ঠিক নয়। তাই সেখানে শ্যুটিং করা সম্ভব নয়।
শোনা গিয়েছিল যে আফগানিস্তানের বদলে হয়ত এই ছবির আউটডোর হতে পারে পশ্চিম এশিয়ার তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের মতো বেশ কিছু দেশে। কিন্তু জানা যাচ্ছে যে মিঠুনের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তাই তিনি বিদেশে শ্যুটিং করতে বিশেষ আগ্রহী নন। ফলে নির্মাতারা দেশের মধ্যেই ছবির আউটডোর শুটের লোকেশন চূড়ান্ত করেছেন। আফগানিস্তান অথবা তাজিকিস্তানের মতো জায়গা চাই দেশের মধ্যে। সূত্রের দাবি, ‘কাবুলিওয়ালা’ ছবির আউটডোর শুটিং হবে কার্গিলে। ওই অঞ্চলের সঙ্গে কাবুলিওয়ালার দেশের ভৌগলিক সাদৃশ্যও রয়েছে। সেটা যদি হয় তবে কার্গিল বা লাদাখ অঞ্চলে দীর্ঘদিন পর কোনও বাংলা ছবির শ্যুটিং হতে চলেছে। এই অঞ্চলে শ্যুটিং হলে তা দর্শকদের কাছে বাড়তি চমক হবে।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কার্গিলে এই ছবির শ্যুটিং হবে বলে জানা গিয়েছে। চলতি মাসের শেষেই লোকেশনে পৌঁছে যাওয়ার কথা ইউনিটের। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন আবীর চট্টোপাধ্যায় এবং সোহিনী সরকার। এমনকি, জানা গিয়েছে ‘মিঠাই’ সিরিয়াল খ্যাত শিশুশিল্পী অনুমেঘা কাহালি ছবিতে ছোট্ট মিনির চরিত্রে অভিনয় করছে। এই বছরের বড়দিনেই কাবুলিওয়ালা মুক্তি পাবে বলে জানা গিয়েছে।