Advertisement

Sudipa Chatterjee on Ubar Cab: কাজ করছিল না প্যানিক বাটন, ভয়ে কাঁদছে ছেলে, ক্যাবে উঠে কোন বিপদে পড়েন সুদীপা?

ছেলে আদিকে নিয়ে 'অ্যাপ ক্যাব'-এ চড়ে বিপদে পড়লেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। বাড়ি থেকে নিউটাউন যাওয়ার পথে ক্যাব চালকের সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি এরপর আচমকাই চালক গন্তব্যের দিকে না গিয়ে অন্য রাস্তায় যেতে শুরু করেন।

ক্যাবে উঠে বিপদে পড়লেন সুদীপা ও তাঁর ছেলেক্যাবে উঠে বিপদে পড়লেন সুদীপা ও তাঁর ছেলে
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 01 Dec 2025,
  • अपडेटेड 4:13 PM IST
  • ছেলে আদিকে নিয়ে 'অ্যাপ ক্যাব'-এ চড়ে বিপদে পড়লেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।

ছেলে আদিকে নিয়ে 'অ্যাপ ক্যাব'-এ চড়ে বিপদে পড়লেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। বাড়ি থেকে নিউটাউন যাওয়ার পথে ক্যাব চালকের সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি এরপর আচমকাই চালক গন্তব্যের দিকে না গিয়ে অন্য রাস্তায় যেতে শুরু করেন। ক্যাবের প্যানিক বোতামও কাজ করছিল না। ছেলেকে নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সুদীপা। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গোটা ঘটনাটির বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে এও জানান যে কলকাতা শহরের সংস্কৃতি নষ্ট করছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা এই ধরনের মানুষেরা। ঠিক কী হয়েছিল সুদীপার সঙ্গে?

ইউটিউব ভিডিওতে সুদীপা প্রথমেই জানিয়েছেন যে বাইরের কিছু মানুষ কলকাতার সংস্কৃতিকে নষ্ট করতে চাইছে। এরপর তিনি জানান যে তাঁর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা যে কোনও কারোর সঙ্গেই ঘটতে পারে। এরপরই সুদীপা একটি ভিডিও ক্লিপিংস দেখান, যেখানে দেখা যায় সুদীপার ছেলে কাঁদছে আর সুদীপা হিন্দিতে উবার চালককে বলছে বাচ্চাটা কাঁদছে। অপরদিকে দেখা যাচ্ছে, উবার চালক ভিডিও করছে পুরো ঘটনার। এরপর সুদীপার সঙ্গে উবার চালকের সামান্য হাতাহাতিও হয়। তখন চালক বলেন যে সবটা রেকর্ড হচ্ছে, আরও মারুন। ভিডিওতে সুদীপাকে বলতে শোনা গিয়েছে, কেন মারছি সেটা বলুন। এরর সুদীপা বলেন যে চালক তাদের অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে এবং প্যানিক বাটনও কাজ করছে না। জবাবে চালক জানায় যে সে এই রাস্তা দিয়েই নিউটাউন যাবে, যেটা গুগল ম্যাপে দেখাচ্ছে, সুদীপার বলা রাস্তা দিয়ে যাবে না। এরপরই উবার চালক গাড়ি চালাতে শুরু করে এবং সুদীপা গাড়ি থামাতে বলা সত্ত্বেও সে থামে না। বলে পুলিশ স্টেশনের সামনে গিয়েই থামবে। এই ভিডিওতে এও দেখা যায় যে সুদীপার ছেলে ভয় পেয়ে কাঁদতে শুরু করে দিয়েছে। 

ভিডিও ক্লিপিংস দেখানোর পর সুদীপা বলেন, ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে দেখলেন তার নাম ধর্মেন্দ্র। সে উবার চালক। আমার গাড়ি সার্ভিস সেন্টারে ছিল বলে উবার বুক করে নিউটাউন যাচ্ছিলাম দাদার কাছে। ক্যাব বুক করার পর সেই গাড়ি আসে, আমি ওটিপি দিয়ে গাড়িতে উঠি। চালক কিছু টাকা বেশি দাবি করে, সেটাও মেনে নিই। সুদীপা বলেন, আমি বন্ডেল গেট দিয়ে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির দিকে যাচ্ছিলাম, যাওয়ার পথে একটি মিষ্টির দোকানে দাঁড় করাতে বলি চালককে। সেখান থেকে মিষ্টি নিয়ে নেব শুধু। তখন চালক মিষ্টির দোকানে দাঁড়াবে না বলে না করে দেয় এবং জানায় যে এর জন্য আমাকে স্টপেজ বলে বিষয়টি বুক করতে হবে। আমি এইসব ওলা-উবারের বিষয়টি নিয়ে বেশি জানি না বলে চালককেই বলি সেটা করতে, অতিরিক্ত যা লাগবে আমি দিয়ে দেব। 

Advertisement

সুদীপা এরপর জানান যে চালক কোনও কথাই শোনে না এবং হঠাৎ করেই সুদীপার ওপর চিৎকার করে কথা বলতে থাকে। এরপর সুদীপার মনে হয় গাড়ি থেকে নেমে যাওয়াই ভাল। তখন তিনি চালককে গাড়ি সাইডে রাখতে বলেন যাতে তিনি নামতে পারেন। উবার চালক সুদীপাকে বলেন যে তিনি পুরো ভাড়া নেবেন এবং ক্যান্সেলও সুদীপাই করবেন। কিন্তু সুদীপা চালকের কথা মানতে রাজি হন না। সুদীপা অভিযোগ করেন, চালক গাড়ি মা ফ্লাইওভারের দিকে না নিয়ে গিয়ে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেন। গাড়ি চালাতে চালাতেই সুদীপার সঙ্গে বচসায় জড়ান চালক। রান্নাঘরের প্রাক্তন সঞ্চালিকা এও জানান যে চালক তাঁকে গালি-গালাজও করে। এই সবের মাঝেই ভয়ে কাঁদতে শুরু করে দেয় সুদীপার ছেলে। সুদীপা এও বলেন, চালক আমাকে মজা দেখাবে বলে হুমকিও দেয়। ড্রাইভার আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল জানি না। এরপর সুদীপা জানান যে তিনি তাঁর চেনা এক পুলিশ অফিসারকে ফোন করেন এবং তাঁরই হস্তক্ষেপে উবার চালক গাড়ি থামায়। তখনই সুদীপা চিৎকার করে এবং স্থানীয় মানুষদের জড়ো করেন। সুদীপা এও অভিযোগ করেন যে ওই চালক তাঁকে মারার জন্য তেড়েও আসেন তখন সুদীপা চালককে চড় মারেন।

শেষে সুদীপা বলেন যে কলকাতায় দাঁড়িয়ে যদি কোনও ভিন রাজ্যের মানুষ বাংলা বুঝতে না পারে, তাহলে তাদের এখানে থাকার অধিকার নেই। অন্য কোনও রাজ্যে এরকম হয় না। সোমবার কড়েয়া থানায় যাবেন সুদীপা। গাড়ির নম্বর মনে আছে তাঁর। অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 

Read more!
Advertisement
Advertisement