সঞ্চালিকা হিসাবে বেশ সুনাম রয়েছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের। একসময় দীর্ঘদিন জি বাংলার রান্নাঘর শোয়ের সঞ্চলনার দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু সেইসব বহুকাল আগেই ঘুচে গিয়েছে। এখন সন্তান, স্বামী ও পোষ্যদের নিয়ে সুখের সংসার সুদীপার। সুদীপা ও অগ্নিদেবের ছেলে আদিদেব। প্রায়ই তিনি ছেলের নানান ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে থাকেন। আদির সেরকমই একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন সকলে। সুদীপার ছেলের কপাল রক্তাক্ত।
এই ছবি দেখে সকলেই খুদের চিন্তা শুরু করে দেন। কী করে ঘটল এই অঘটন? আজতক বাংলাকে সুদীপা বলেন যে তাঁর পোষ্য ভান্টুর সঙ্গে আদি খেলছিল। আর এই গরমের কারণে সুদীপার পোষ্যের মেজাজ ঠিক ছিল না। গরমের চোটে ঝিমোচ্ছিল। আর আদি ক্রমাগত ডাকা সত্ত্বেও ভান্টু তার সঙ্গে খেলতে না আসায় সুদীপা পুত্র নিজেই ভান্টুর গায়ের ওপর পড়ে। এরপরই ভান্টু মেজাজ হারায়। তবে সুদীপার কথায়, তাঁর পোষ্য আদিকে কামড়ায়নি তবে দাঁতের কোণ লেগে আদির কপাল কেটে যায় এবং তারপরই রক্তারক্তি কাণ্ড।
সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। সুদীপা জানিয়েছেন যে সারারাত রক্ত পড়া কমেনি। মঙ্গলবার ভোরেও রক্ত কমছে না দেখে তাঁরা ভেবেছিলেন হাসপাতালে ভর্তি করবে আদিকে। কিন্তু তাদের পারিবারিক চিকিৎসক একটা কৌশল বলার পর তা প্রয়োগ করতেই আদির কপাল থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। এখন ভাল আছে আদি বলে জানিয়েছেন সুদীপা। বরাবরই পোষ্যদের ভালোবাসেন সুদীপা। এর আগে সুদীপা ও অগ্নিদেবের একটি পোষ্য ছিল, যে মারা যায়। তারপরই ভান্টুকে নিয়ে আসেন সুদীপা।
ভানুভূষণ চট্টোপাধ্যায় ছিল সুদীপার চোখের মণি। ২০২২ সালে তার চলে যাওয়া এখনও মানতে পারেন না সুদীপা। ভানু চলে যাওয়ার পর অবসাদ গ্রাস করেছিল সুদীপাকে। তারপরই তাঁর জীবনে আসে ভান্টু। পোষ্যের সঙ্গে সুদীপা প্রায়ই ছবি দিয়ে থাকেন। একেবারে সন্তানের মতোই স্নেহ করেন ভান্টুকে সুদীপা ও অগ্নিদেব। ছেলে আদির সঙ্গেও পোষ্যের ভাব খুব। দুজনে মিলে বাড়িময় দুষ্টুমি করে বেড়ায়। সংসার সামলানোর পাশাপাশি দারুণ রান্না করেন সুদীপা। তাঁর রান্নার খ্যাতি রয়েছে টলিউড জুড়ে। এখন সুদীপা তাঁর একটি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে সংসারের খুঁটিনাটি, রান্নাবান্না নিয়ে শো করছেন। যা খুব জনপ্রিয় হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যেই।