আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই প্রতিবাদী ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল টেলি অভিনেত্রী শ্রুতি দাসকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট করার পাশাপাশি অভিনেত্রী রাস্তায় নেমে সোচ্চার হতে পিছুপা হননি। বারবার বিচার চেয়ে একাধিক পোস্ট করেছেন তিনি। তরুণী চিকিৎসকের নির্মম পরিণতিতে নিন্দায় সরব হতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। শ্রুতি সবসময়ই উচিত কথা বলতে ভয় পান না। কিন্তু শুক্রবার একটি পোস্ট করার পরই তা মুছে ফেলতে বাধ্য হন অভিনেত্রী কিন্তু কেন?
শুক্রবার শ্রুতি তাঁর পোস্টের মাধ্যমেই জানিয়েছিলেন যে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পুজো হয় তাই তাঁকে করতেই হবে। কিন্তু তিনি নিজের জন্য একটি সুতোও কেনেননি। অভিনেত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে লেখেন, নেহাত আমার শ্বশুরবাড়ির পুজো, করতেই হবে, বন্ধ করা যায় না তাই। তবে, আমার অনুরাগীদের কথা দিয়েছিলাম নিজের জন্য একটা সুতো কিনবোনা, কিনিনি। পাওনা দিয়েই পুজো কাটাবো বলেছিলাম, তাই করবো। এ আমার প্রতিবাদই ধরে নেবেন। কলকাতার রাস্তার মিছিলে দেখতে পাচ্ছেন না বলে ভাববেন না আমি ভুলে গেছি। আর এই পোস্ট ঘিরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। যদিও তার আগেই শ্রুতি তাঁর পোস্ট মুছে দিয়েছিলেন।
এ নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে শ্রুতি জানিয়েছেন যে সম্ভবত তাঁর পোস্ট ঘিরে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে অভিনেত্রী তাঁর বক্তব্য মুছলেও বেশ কিছু নেটিজেন তাঁর পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছিলেন। তাঁরা সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ব্যাঙ্গ করে লেখেন যে এমনিতে ওঁর অশৌচ ছিল। তবে উনি কিন্তু মানবিক, কেবল শ্বশুরবাড়ির পুজোটুকু করতেই হয় তাই করছেন। আপনাদের যাঁদের শ্বশুরবাড়ির পুজো করার ক্ষমতা নেই তাঁরা প্লিজ অশৌচ পালন করুন। উনি উস্কে দিয়ে আনন্দ করবেন। তবে উনি অবশ্যই একটাও সুতো কিনবেন না। শুধু পাওনা পরে কাটাবেন, ওঁকে উপহার দিতে পারেন। প্রসঙ্গত, এই অশৌচ পালনের হিড়িক শ্রুতি প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছিলেন।
আরজি কর-কাণ্ডের জেরে এই বছরের পুজোর আবহ একেবারেই আলাদা রকমের। রাস্তা-ঘাট সব জায়গাতেই যেন গুরু গম্ভীর পরিবেশ। পুজো হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই উন্মাদনা একেবারেই নেই। এর আগে বিনোদন দুনিয়ার খ্যাতনামীদের তরফে উদ্যাপনে যোগ না দেওয়ার আর্জি এলেও বাড়ির পুজো বন্ধ রাখছেন না কেউই। কোয়েল মল্লিক, সুদীপা চট্টোপাধ্যায় শোভাবাজার রাজবাড়ি হয়ে শহরের সমস্ত বনেদি বাড়িতে রীতি মেনে আড়ম্বরহীন পুজো হচ্ছে। সেই রেশ বজায় রেখেই শ্রুতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির পুজোর কথা। কিন্তু এভাবে যে কটাক্ষের শিকার হবেন