রবিবার জাঁকজমকের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল টেলিভিশনের চর্চিত জুটি শ্বেতা ভট্টাচার্য ও রুবেল দাসের। বৈদিক মতে বিয়ে করেন শ্বেতা-রুবেল। বিয়ের দিন সাবেকি বাঙালি বধূ রূপে ধরা দিয়েছিলেন শ্বেতা আর রুবেল বিয়ে করতে এলেন নাচতে নাচতে। শ্বেতা ও রুবেলের বিয়ে ও রিসেপশন ঘিরে দারুণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন কোন গোপনে মন ভেসেছে ও নিম ফুলের মধু সিরিয়ালের কলাকুশলীরা। বিয়েতে শ্বেতার সিরিয়াল কোন গোপনে মন ভেসেছে-এর সব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেখা গিয়েছিল আর রিসেপশনে এলেন নিম ফুলের মধু সিরিয়ালের গোটা টিম। তবে সকলেই অপেক্ষা করেছিলেন বাবুর অনস্ক্রিন স্ত্রী পর্ণা কেমন সেজেছেন তা দেখার জন্য। অবশেষে সামনে এল পর্ণা তথা পল্লবী শর্মার লুকস।
রুবেল তথা সৃজনের বিয়ে নিয়ে প্রথম থেকেই দারুণ খুশি নিম ফুলের মধু সিরিয়ালের গোটা টিম। অনস্ক্রিনে দুবছরের বেশি সময় ধরে সৃজনের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন পল্লবী। রোম্যান্স, রাগ-অভিমান, প্রেম-ভালোবাসা সব দৃশ্যেই সৃজন-পর্ণা দর্শকদের কাছে হয়ে উঠেছিল ভীষণ প্রিয়। সেই নিম ফুলের মধু-র নায়কের বিয়ে। অন্য সকলের মতো পল্লবীও আমন্ত্রিত ছিলেন রিসেপশনে। তবে রিসেপশনের ছবি সামনে আসার পর রুবেল-শ্বেতার সঙ্গে নিম ফুলের মধু-র সব অভিনেতা-অভিনেত্রীকে দেখা গেলও কোথাও পল্লবী তথা পর্ণাকে দেখা যাচ্ছিল না।
অবশেষে দেখা গেল পর্ণাকে আর সামনে এল তাঁর সাজও। এদিন রুবেল ও শ্বেতার সাদা রঙের পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে শ্বেতাও পরেছিলেন সাদা রঙের শাড়ি, সঙ্গে ফুলস্লিভ সাদা ব্লাউজ, খোলা চুল, হালকা মেকআপ আর গলায় ও কানে মুক্তোর হার ও দুল। ছিমছাম সাজেই খুব সুন্দর লাগছিল পল্লবী তথা পর্ণাকে। তবে নিম ফুলের মধুর টিমের সঙ্গে তাঁকে ছবি তুলতে দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত, সিরিয়ালের সেটে রুবেলের আইবুড়ো ভাত খাওয়ানোর সময় পল্লবীও উপস্থিত ছিলেন। সকলে মিলে সিরিয়ালের নায়ককে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো হয়।
এর আগে এক সংবাদমাধ্যমকে পল্লবী জানিয়েছিলেন যে তিনি রুবেলের বিয়েতে শাড়িতেই সাজবেন। সেরকমই তাঁকে দেখা গেল সাদা রঙের শাড়িতেই। গত দু বছরের বেশি সময় ধরে অনস্ক্রিনে পল্লবী ও রুবেলকে জুটিতে দেখা যাচ্ছে। পর্ণা ও সৃজনের এই জুটি দর্শকদের ভীষণভাবে পছন্দ। এখন তো এই গল্পের মোড়ও ঘুরেছে একেবারে অন্যদিকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পর্দায় রুবেল ও পল্লবীর রসায়ন দেখার জন্য সবসময়ই মুখিয়ে থাকেন দর্শকেরা। ২০২০ সালে 'যমুনা ঢাকি' সিরিয়ালে একসঙ্গে কাজ করার সময়ই বন্ধুত্ব তৈরি হয় শ্বেতা-রুবেলের। পরে সেই বন্ধুত্ব ভালোবাসায় বদলে যায়। সেই ভালোবাসাই পরিণতি পেল বিয়েতে।