টেলিভিশন দুনিয়ায় রূপাঞ্জনা মিত্র পরিচিত এক নাম। বহু বছর ধরে অভিনেত্রী টেলি দুনিয়ায় তাঁর পাকা জায়গা করে নিয়েছেন। মাঝে মাঝেই রূপাঞ্জনাকে নিয়ে চর্চা হয় বটে তবে এগুলোকে খুব একটা পাত্তা দিতে নারাজ তিনি। সম্প্রতি রূপাঞ্জনার ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্ট তাঁরভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। রূপাঞ্জনা লিখেছেন, বিদায় নিচ্ছি।
অনেকেই মনে করতে পারেন তাহলে কি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছেন রূপাঞ্জনা? না, আসলে সেটা নয়। অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়াল থেকে এবার বিদায় নেওয়ার পালা রূপাঞ্জনার। এই সিরিয়ালের শুরু থেকেই তাঁকে লাবণ্য সেনগুপ্তের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। এই চরিত্র তাঁকে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা দিয়েছে। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ সিরিয়ালে ‘দিদিভাই’ রূপাঞ্জনা বেশ নজর কাড়েন। কিন্তু তাঁর এবার যাওয়ার পালা। লাবণ্য হিসাবে শেষ দিনের শুটিং করে ফেললেন রূপাঞ্জনা। সিরিয়ালের শেষ দিনের শুটিংয়ের নিজের অনুভূতির কথাই সমাজমাধ্যমের পোস্টে লিখলেন অভিনেত্রী।
এদিন রূপাঞ্জনা তাঁর লাবণ্য চরিত্রের ছবি পোস্ট করে আবেগঘন পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, 'লাবণ্য সেনগুপ্তকে আন্তরে রেখে এই চরিত্রটাকে বিদায় জানাচ্ছি। টানা ৩ বছর সুন্দরভাবে এই চরিত্রটির মাধ্যমে বেছে ছিলাম। লাবণ্য সেনগুপ্ত হয়েই শ্বাস নিয়েছি। তবে এবার চরিত্রটিকে বিদায় জানানোর সময় এসেছে। লাবণ্য শুধু একটা চরিত্র নয়, এটা আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে উঠেছিল। এই সময়টাতে লাবণ্য হয়েই আমি হেসেছি, কেঁদেছি, লড়াই করেছি, বড় হয়েছি। শুধু একজন অভিনেতা হিসেবে নয় একজন ব্যক্তি হিসেবেও।' সেই সঙ্গে রূপাঞ্জনা আরও যোগ করেন, 'লাবণ্যকে যাঁরা দেখেছেন, যাঁরা ওকে সমর্থন করেছেন, ভালোবাসা দিয়ে আলিঙ্গন করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ। আপনাদের ভালোবাসার উষ্ণতাতেই এই চরিত্রটি জীবন্ত হয়ে উঠেছিল। আপনাদের এমন ভালোবাসা আমার কাছে উপহার, আমি সবসময় এটা মনে রাখব। যখন আমি এই চরিত্রটিকে বিদায় জানাচ্ছি, তখন আমি আমার সঙ্গে এই চরিত্রটিকে ধারণ করে চলেছি। এই চরিত্রটির সঙ্গেই আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। আশারাখি চরিত্রটি সবসময়ের জন্য আপনাদের হৃদয় স্পর্শ করে থাকবে। আমাকে আপনাদের প্রিয় লাবণ্য হতে দেওয়ার জন্যও ধন্যবাদ। লাবণ্য মতো চরিত্র চিরকাল আমার আত্মার সঙ্গে জুড়ে থাকবে।'
টেলিভিশনে একাধিকবার নানা চরিত্রে দেখা গিয়েছে রূপাঞ্জনা মিত্রকে। তাঁর মন ছুঁয়ে যাওয়া অভিনয়ে মুগ্ধ করেছে বাঙালিকে। নানা চরিত্রের মাঝেও কিছু এমন কাজ থাকে যার থেকে বেরিয়ে আসা যন্ত্রণার। ঠিক তেমনই তাঁর কাছে অনুরাগের ছোঁয়ার লাবণ্য সেনগুপ্ত। যেখানে তিনি একদিকে নায়কের মা। আবার অন্যদিকে, পরিবারের দুই খুদে সদস্যের ঠাম্মি। তাঁর চরিত্রের গাম্ভীর্য রূপাঞ্জনাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছিল।