ছোটপর্দার অভিনেত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় মুখ হলেন শ্রুতি দাস। অভিনেত্রী তাঁর অভিনয়ের জোরেই টেলিপাড়ায় নিজের জায়গা ধরে রাখতে সফল হয়েছেন। যদিও বেশ কিছু বছর ধরেই শ্রুতি ছোটপর্দার বাইরে। বিয়ে করেছেন পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের সঙ্গে। কেরিয়ারের সবচেয়ে বড়দিন আসতে চলেছে। টলিউডে ডেবিউ করবেন শ্রুতি। আর তার আগেই ভুয়ো কাস্টিং এজেন্সি নিয়ে সরব হলেন অভিনেত্রী।
শুক্রবারই শ্রুতি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এই নিয়ে দীর্ঘ পোস্ট করেন তিনি। অভিনেত্রী লেখেন, আমাদের টালিগঞ্জ/ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সত্যিই কি কোনও এজেন্সি দ্বারা কাস্টিং হয়? এখনও পর্যন্ত কি কোনও পরিচালক বা কোনও প্রোডাকশন হাউস, কোনও কাস্টিং কোম্পানির হাতে কোনও সিনেমা, সিরিয়াল বা ওয়েব সিরিজের স্ক্রিপ্ট দিয়ে বলেন যে, ভাই পুরো কাস্টিংটা করে দাও পরিবর্তে এই রেমুনারেশন তোমাকে দিচ্ছি। না, আমাদের কলকাতায় এই ভাবে কোনও কাস্টিং হয়না। আমি নিজে এত বছর সহকারি পরিচালক হিসাবে নিয়মিত কাজ করছি, যে কটি পরিচালনার কাজ করেছি আমি কখনও দেখিনি বা আমার বাবাও কস্মিন কালে দেখেননি। তাহলে এই যে ‘স্যোশাল মিডিয়া’তে এত কাস্টিং এজেন্সির বিজ্ঞাপন দেখি, এরা কী করে? আমারও প্রশ্ন এরা কী করে?
যদিও এইসব প্রশ্নের উত্তর নায়িকা নিজেই দিয়েছেন। শ্রুতি লেখেন, মফঃস্বল থেকে আসা ছেলে মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নেন অনেকে। তিনি লেখেন, এরা টুপি পরায়। তাঁদের, যাঁরা গ্রাম মফস্বল থেকে আসে দু চোখে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু জানেন না কোথায় যাবেন বা কার কাছে যাবেন। সেই না জানারই সুযোগ নেয়। আর এই সমস্ত এজেন্সি গুলো অধিকাংশই জুনিয়র আর্টিস্ট মানে ভিড়ে ১৫ জন দাঁড়াবে সবাই চিৎকার করবে তাঁদের মধ্যে দু একজন একটা দুটো কথা বলবে বা একজন নার্স, ওয়ার্ডবয়, ওয়েটার দু একটি কথা আছে এই ধরনের চরিত্রগুলি যেগুলো সাধারণত কেউ করতে চায়না। সেই কাস্টিং গুলোর জন্য এদের থেকে ছেলে মেয়ে আমরা নিই। আর মাঝে মধ্যে কখনও কোথাও অডিশনের খবর এদের ছেলে মেয়েদের দেয়। হয়তো টালিগঞ্জে একটি কি দুটি এজেন্সি আছে যাঁরা ঠিকঠাক চরিত্রের জন্য রেফার করে। কিন্তু এরা কেউ কাস্টিং করেনা। সেই সঙ্গে ভুয়ো কাস্টিং কাউচের কবলে পড়ে কী করে টাকা নষ্ট হয় তা নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন শ্রুতি।
যদিও শ্রুতি টলিপাড়ার এক ইন্ডিপেন্ডেন্ট পরিচালক রাসেল মাহমুদের পোস্ট শেয়ার করেছেন। প্রসঙ্গত, শ্রুতি নিজেও বর্ধমান থেকে উঠে আসা এক মেয়ে। যাঁকে এখানে এসে নিজের অভিনয়ের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য সংঘর্ষ করতে হয়েছে। এর আগেও শ্রুতি জানিয়েছিলেন ২০২৪ সালে তিনি বেশিদিন শ্যুটিং ফ্লোরে থাকতে পারেননি। এই নিয়ে আক্ষেপও ছিল তাঁর। ‘রাঙা বউ’ সিরিয়ালের পর অনেক দিন ছোট পর্দায় দেখা যায়নি নায়িকাকে। তবে নানা ধরনের কাজ করে চলেছেন। যে কোনও সামাজিক বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করতেও পিছু পা হন না শ্রুতি। মে মাসেই দেখা যাবে অভিনেত্রীকে বড়পর্দায়। শিবপ্রসাদ-নন্দিতা রায়ের আমার বস ছবিতে অভিনয় করবেন শ্রুতি।