বয়স ৮৬। কিন্তু এখনও বেশ শক্ত পোক্ত। মাঝে মাঝেই তারকা নাতনির সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় তাঁকে। কিছুদিন আগে এই বৃদ্ধাকে নিয়েই সরকারি হাসপাতালে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। সেই দিদাকেই কাজল-লিপস্টিক, গয়না পরিয়ে সাজালেন শ্রীময়ী। তারই সঙ্গে লিখলেন ৮৬ বছরের দিদা তাঁদের পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম।
শ্রীময়ী যে ছবিপোস্ট করেছেন সেখানে তাঁর দিদাকে দেখা গিয়েছে সাদা ও কমলা প্রিন্টের শাড়িতে। মাথায় সিঁদুর, কপালে বড় করে সিঁদুরের টিপ, চোখে কাজল ও ঠোঁটে লিপস্টিক। এরই সঙ্গে গয়নাও পরিয়েছেন। দিদার এই ছবি পোস্ট করে শ্রীময়ী লেখেন, আমার পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম। আমার দিদার নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে হয়েছিল, তখন তো ফোন কি, সেটাও জানতেন না, এখনও কিছুই বোঝেন না, একটা সরল সাদামাটা জীবন যাপন করে, কখনও কোনওদিন লিপস্টিক, নেলপলিশ পড়েনি, এভাবেই ৮৬টা বছর পার করে দিয়েছে, বোধহয় পৃথিবীও তখন অতটা জটিল ছিল না, তাই হয়তো এতটা জীবন কাটিয়ে আসতে পেরেছে সুস্থভাবে। শ্রীময়ী এরপর আরও লেখেন, প্রবল অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও, আমি জোর করে একটু সাজুগুজু করিয়েছি, শুধুই যাতে এই ছবিটা স্মৃতির পাতায় থেকে যায়। কৃষভি যেন বড় হয়ে দেখে তার আম্মার সঙ্গে তার আদরে মাখা স্নেহের সম্পর্কের ছবি।
শ্রীময়ী এর আগেই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে তাঁর দিদার অসুস্থ হওয়ার খবর শেয়ার করেন। সেই সময়ই জানিয়েছিলেন যে তাঁর দিদা ক্যালকাটা ট্রপিকাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছেন। সেই সময় শ্রীময়ী ও তাঁর পরিবার ভেবেছিলেন যে হয়ত দিদাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন না। কিন্তু ১০ দিন পর শ্রীময়ী তাঁর দিদাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। সেই সময় কাঞ্চন-পত্নী হাসপাতালের ভূয়সী প্রশংসা করে পোস্টও করেন। সম্প্রতি দিদাকে নিয়ে ফের এই হাসপাতালে ঝামেলার মুখে পড়েছিলেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। তা নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চে কাঞ্চনকে দেখা গেলেও স্ত্রী শ্রীময়ী যাচ্ছেন না। কারণ এইদিন শ্রাবণের প্রথম সোমবার। যা নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে পালন করে থাকেন শ্রীময়ী। তাই এই বছরের ২১-র মঞ্চে থাকতে কাঞ্চনের পাশে থাকতে পারবেন না শ্রীময়ী। এইদিন উপোস করে শিবের মাথায় জল ঢালেন কাঞ্চন-পত্নী। গত দেড় বছর ধরে শ্রীময়ী শ্রাবণের সোমবার করে আসছেন।