বাংলা টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ হলেন শ্বেতা ভট্টাচার্য। সিরিয়ালের দুনিয়ায় বহু বছর ধরে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন অভিনেত্রী। গত বছর বিয়ে করেছেন দীর্ঘদিনের প্রেমিক তথা সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ রুবেল দাসকে। বিয়ের দিন অপূর্ব সুন্দর লাগছিল শ্বেতাকে। তাঁর আশীর্বাদ থেকে রিসেপশনের লুক কেমন হবে, তার পুরো দায়িত্বে ছিলেন টলিপাড়ার স্টাইলিস্ট রুদ্র সাহার কাঁধে। লাল বেনারসীর সঙ্গে ম্যাচিং করে শ্বেতা তাঁর ব্লাউজ বানিয়েছিলেন শিলিগুলির এক ডিজাইনার ভিকির থেকে। শ্বেতার বিয়ের লুকস দারুণভাবে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর বিপদ বেড়েছে এতেই। কলকাতার এক বুটিক অভিনেত্রীর ছবি ব্যবহার করে এমনভাবে প্রচার চালাচ্ছেন যে অনেকে ধরেই নিয়েছেন, শ্বেতার বিয়ের ব্লাউজ ওই বুটিকেরই তৈরি করা। আর সেই বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসলেন শ্বেতা।
শ্বেতার বিয়ের সাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণভাবে প্রশংসিত। সাবেকি বাঙালি নববধূ রূপে শ্বেতাকে রানির মতো লাগছিল। চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না তাঁর থেকে। শ্বেতার বিয়ের ব্লাউজের জিজাইন করেছিলেন রুদ্র আর বানিয়েছিলেন ডিজাইনার ভিকি দাস। শ্বেতার এই ব্লাউজই নাকি দেদার বিক্রি হচ্ছে কলকাতার এক বুটিকে। শুধু তাই নয় ওই বুটিক সংস্থারই তৈরি করা ওই ব্লাউজ এমনটাও দাবি করা হচ্ছে। এতে বেজায় চটেছেন শ্বেতা ও স্টাইলিস্ট রুদ্র সাহাও। এই ভুল ভাঙতে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করেন শ্বেতা।
অভিনেত্রী কড়া ভাষায় বলেন, অনুমতি না নিয়ে এ ভাবে আমার ছবি ব্যবহার করা খুবই অনুচিত। আগামী দিনেও যদি এমন কিছু করেন, তা হলে আইনি পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব। অপরদিকে স্টাইলিস্ট রুদ্র সাহার পক্ষ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে রুদ্র সাহা দেখিয়েছেন কীভাবে শ্বেতার বিয়ের ব্লাউজ তৈরি হচ্ছে। অপরদিকে, রুদ্র সাহার অফিশিয়াল পেজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় শ্বেতা বলেছেন, “আমার বিয়ের ব্লাউজ বানিয়েছেন ভিকি দাস। তাই কোনও গুজবে কান দেবেন না। আর যারা এমন কাজ করছেন তাঁদের বলব আমার অনুমতি না নিয়ে আমার ছবি ব্যবহার করলে আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।
এক সংবাদমাধ্যমকে রুদ্র সাহা জানিয়েছেন, কলকাতার একটি বুটিক শ্বেতার ছবি ব্যবহার করে নিজেদের কাজের প্রচার করছে। অথচ যে আসলে কাজটা করেছেন তাঁর নামটাই কেউ জানতে পারছে না। এরকম হলে তো খুব মুশকিল। যে আসলে ডিজাইনার তাঁর কাজ, ব্যবসা দুইই মার খাচ্ছে এর ফলে।