নীল রঙের হাফপ্যান্ট ও সাদা টি-শার্ট পরে বসে রয়েছে বছর ১৩-র কিশোর। ছোট ছোট চুল কাটা, মুখে মৃদু হাসি নিয়ে পোজ দিয়েছেন এই কিশোর। যদিও এই কিশোর এখন টলিপাড়ার নামকরা পরিচালক। বাংলা ছবি তো বটেই হিন্দি ছবির পরিচালনাও করে ফেলেছেন। তাঁর ছবি বক্স অফিসে বেশ হিট হয়, বিশেষ করে তাঁর ছবির গানে মজে আট থেকে আশি সকলে। এই নামকরা পরিচালকই তাঁর কিশোর বয়সের ছবি পোস্ট করে জঙ্গলের প্রতি তাঁর ভালোবাসাকে উজাড় করেছেন।
এই পরিচালক বিয়ে করেছেন বাংলাদেশী নায়িকাকে। যদিও স্ত্রী পরিচালকের সঙ্গে থাকেন না, বাংলাদেশেই থাকেন। পরিচালকের সাপ পোষার ভীষণ শখ। বাড়িতে ৪-৫টি সাপও রয়েছে। যা নিয়ে এক সময় একাধিক লেখালিখি হয়েছে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে কার কথা বলা হচ্ছে। ইনি আর কেউ নন, টলিপাড়ার বিখ্যাত পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। যিনি তাঁর কিশোরবেলার ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। এরই সঙ্গে সৃজিত জানিয়েছেন তাঁর জঙ্গলের প্রতি ভালোবাসার কথা।
সৃজিত সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই কিশোরবেলার ছবি পোস্ট করে পরিচালক লিখেছেন, 'সমুদ্র বা পাহাড়ের চেয়েও ছোটবেলা থেকে আমি জঙ্গলপ্রেমী ও বন্য পশুপ্রেমী, ডেভিড অ্যাটেনবরোর লেখা লাইফ অন আর্থ বইটি আমার পড়া প্রথম বইয়ের মধ্যে একটি ছিল। আমার প্রথম জঙ্গল সাফারি ছিল সিমলিপাল তবে ছোটবেলায় সবচেয়ে সুন্দর মনে রাখার মতো জঙ্গল সাফারি ছিল ১৯৯০ সালে কানহা। এই জঙ্গলেই প্রথম হাতির পিঠে চড়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে দেখা এবং ভারতীয় জঙ্গলের বৃষ্টি পড়ার সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম আমার বাবার সঙ্গে, যাঁর কাছে আমার এই জঙ্গলের প্রতি আকর্ষণের জন্য ঋণী। এরপর আমি সুন্দরবন, মুদুমালাই, রণথম্ভোর, গোরুমারা, তাডোবা, পেঞ্চ ও সাম্প্রতিক ঘুরে আসা করবেটে (যেখানে দ্বিতীয়বার বৃষ্টির মরশুম উপভোগ করেছি) গিয়েছি। কিন্তু কানহার স্মৃতি একেবারে অন্যরকম।'
এখন টলিপাড়া কাবু সৃজিত ও সুস্মিতার বিশেষ বন্ধুত্বে। সৃজিতের সঙ্গে একাধিক জায়গাতে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের দুষ্টু-মিষ্টি বন্ধুত্বের সমীকরণ কারোরই চোখ এড়াচ্ছে না। যদিও এই নিয়ে পরিচালক বা সুস্মিতা দুজনের কেউই মুখ খোলেননি। সৃজিতের আগামী ছবি লহ গৌরাঙ্গের নাম রে-তে দেখা যাবে সুস্মিতাকে। এরই পাশাপাশি ওটিটিতে মুক্তি পাবে সৃজিতের ফেলুদা।