টেলিভিশনে একচেটিয়া অভিনয় করে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছেছেন নায়িকা শ্বেতা ভট্টাচার্য। কিন্তু কখনই নায়িকাকে দেখবেন না সাহসী অবতারে অথবা শর্ট পোশাকে। 'কোন গোপনে মন ভেসেছে' সিরিয়ালের নায়িকা সব সময়ই শালীনতা বজায় রাখতেই ভালোবাসেন। আসলে বাংলা থেকে হিন্দি যে কোনও ভাষার সিনেমা বা সিরিয়ালের অভিনেত্রীকে বোল্ড অবতারে হামেশাই দেখা যায়। বাংলা সিরিয়ালের এমন অনেক নায়িকাই আছেন, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলামেলা পোশাকে আসলেই প্রশংসার বন্যা বয়ে যায়। কিন্তু সেই পথে হাঁটতে নারাজ ছোটপর্দার দাপুটে নায়িকা শ্বেতা। আর এই নিয়েই এক পডকাস্টে মুখ খুললেন শ্বেতা।
শ্বেতা সেই পডকাস্টে এসে স্পষ্ট বলেন, 'যদি শরীর দেখিয়ে কাজ করতে হয় আমি তাহলে সেই কাজ করব না। আমি এখানে ট্যালেন্ট বেচতে এসেছি, শরীর নয়।' শ্বেতা বলেন, 'আমি স্লিভলেস পরতে পারি না, শর্টড্রেস পরতে পারি না। আমি পরি না। আমাকে বলা হয়েছিল যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে এসেছো, তুমি যদি স্লিভলেস না পরো, শর্টড্রেস না পরো, টিকবে কী করে।' নায়িকা এও জানিয়েছেন যে তিনি কখনও কোথাও স্লিভলেস বা শর্টড্রেস পরেন না। আর শর্টড্রেস পরলেও তা হাঁটু পর্যন্ত। হাঁটুর ওপর পর্যন্ত তিনি কোনও ড্রেস পরেন না। শ্বেতা এরপর বলেন, 'গত ১৫ বছর ধরে আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছি, আমায় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, প্রযোজক আমাকে কখনও জোর করেনি যে আমায় স্লিভলেস পরতে হবে।'
শ্বেতা এর আগেও একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে কাজ পেতে হলে আপোস করতে হবে, এই নীতিতে তিনি বিশ্বাসী নন। তা সত্ত্বেও শ্বেতা তাঁর জায়গা করে নিয়েছেন টেলিভিশন জগতে। ২০১০ থেকে দীর্ঘ কেরিয়ারে এখন পায়ের তলার জমি শক্ত করেছেন। তাই নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসার প্রশ্নই আসে না নায়িকার। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই বারবার মিটু ও কাস্টিং কাউচের কথা উঠে এসেছে। ফিসফাস এও শোনা যায় যে কম্প্রোমাইজ না করলে সাফল্য ধরা দেয় না। কিন্তু এই ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন এই অভিনেত্রী।
শ্বেতা ২০১০ সাল থেকে এক নাগাড়ে কাজ করে চলেছেন। ‘কনক কাকন’, ‘জারোয়ার ঝুমকো’, ‘সিঁদুর খেলা’, ‘তুমি রবে নীরবে’, ‘জয় কানহাইয়া লাল কি’, ‘যমুনা ঢাকি’, ‘সোহাগ জল’-এর মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করেন শ্বেতা। শুধু তাই নয়, প্রজাপতি ছবিতে দেবের বিপরীতে কাজ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নায়িকা। এ বছরের গোড়াতেই অভিনেতা রুবেল দাসের সঙ্গে বিয়ে করেন শ্বেতা। বিয়ের পর সংসার ও কাজ দুটোই সমান তালে সামলাচ্ছেন নায়িকা।