
রাজনীতির চেনা মুখ সায়নী ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তিনি। গত বছরই যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তিনি সাংসদ হিসাবে জয়লাভ করেন। যদিও বহু আগে থেকেই সায়নী তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অভিনয় থেকে একপ্রকার দূরেই চলে গিয়েছিলেন সায়নী। তবে এবার ফের তাঁকে বড়পর্দায় দেখা যাবে। রামকমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল ছবিতে দেখা যাবে তৃণমূল সাংসদকে।
রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে তাঁকে সব সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল-মিটিংয়ে প্রথম সারিতেই দেখা যায়। রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি সরবও হন। বিরোধী দলগুলিকে একহাত নিতে ছাড়েন না। সায়নীর সাজ-পোশাকেও এসেছে অনেক বদল। মাঝে মধ্যেই তাঁকে সাদামাটা শাড়ি ও খোপা, সঙ্গে কপালে বড় লাল টিপে দেখা যায়। পায়ে থাকে হাওয়াই চপ্পল। আর এই সাজ দেখে অনেকেই মনে করেন যে সায়নী তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাজকে অনুকরণ করেন। আর এই বিষয়ে সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন সায়নী।
সায়নী বলেন, আমি যদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি, তাহলে ওঁনার দল করতে করতে তো আমাকে নরেন্দ্র মোদীর মতো দেখতে লাগলে মুশকিল হয়ে যাবে বা ওঁনার দল করতে করতে যদি আমাকে সিপিএমের কোনও নেতার মতো দেখতে লাগে বা সোনিয়া গান্ধীর মতো দেখতে লাগে, তাহলে তো সেটা সমস্যার না। এটা নিয়ে আমি খুশি যে আমি যাঁর দল করি আমায় তাঁর মতো দেখতে লাগে। আমি তাঁর মতোই সাধারণ থাকতে চাই। আমার তাঁর মতোই মাটিতে যেন পা থাকে। সায়নী আরও বলেন যে তিনি কোনওদিন অত্যাধিক সাজ-পোশাক করেন না, তিনি বরাবরই সাদামাটা থাকতেই পছন্দ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি যত দেখছেন, তাঁর সাধারণ থাকার এই বৈশিষ্ট্য সায়নীর ওপরও ভর করে যাচ্ছে। সহজ-সরল জীবনে আরও বেশি বিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী-সাংসদ সায়নী।
সায়নী ঘোষ সাংসদ হওয়ার অনেক আগে থেকেই তৃণমূল দলের হয়ে বিভিন্ন কাজ করতেন। একাধিক অনুষ্ঠানে তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেও দেখা গিয়েছে। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী সরে যাওয়ার পরই ওই কেন্দ্রের টিকিট পান সায়নী। গত বছর লোকসভা নির্বাচনেও তাঁকে দিনরাত এক করে প্রচার চালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। এইসবের মাঝেই টুকটাক অভিনয়ও চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল ছবিতে সায়নী ‘সরস্বতী’ নামের এক গৃহকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।