অভিনেতা হিসাবে তো জনপ্রিয়তা আগেই পেয়েছিলেন এবার গায়ক হিসাবেও ধরা দিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তাঁর অভিনয় দেখে মুগ্ধ আবালবৃদ্ধবণিতা। পেশাগত জীবন নিয়ে যতটা খোলামেলা অনির্বাণ, ততটাই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অতটা অকপট নয় অভিনেতা। তাই তিনি কী করতে ভালোবাসেন, কী খেতে ভালোবাসেন, তার কিছুই টের পাওয়া যায় না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনির্বাণ জানিয়েছেন শীতকাল আসলে তাঁর কোন শখ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনির্বাণ বলেন, মাঝখানে একটু রান্নার শখ হয়েছিল। ওটা শীতকাল পেরোতেই চলে গেছে। তখন না রান্না করতে ভাল লাগছিল। কিন্তু গরম পড়তেই রান্নাঘরটা এত গরম যে ওই শখটা উবে গেছে। শীতকালে ওটা আবার ফিরবে। কী কী রান্না শিখলেন অনির্বাণ? অভিনেতা বলেন, পোলাও, খাসির মাংস, যদিও আমি খুব একটা রেড মিট খেতে পছন্দ করি না। আরও সব বিদেশি ব্রেকফাস্ট শিখেছিলাম, সেগুলো পারি।
সদ্যই নিজের গানের ব্যান্ড হুলিগানিজম চালু করেছেন অনির্বাণ। শো করাও শুরু করেছেন। যেখানে দর্শকাসনে অধিকাংশ তরুণ তুর্কি। তবে অন্য বয়সের শ্রোতাদের কাছেও তাঁদের ব্যান্ডের গান বেশ জনপ্রিয়। বাংলার নতুন ব্যান্ড 'হুলিগানিজম'-এর এখনও পর্যন্ত মাত্র ১টি গানই মুক্তি পেয়েছে। 'মেলার গান'। সেই গান শ্রোতাদের যে মনে ধরেছে, তা সোশ্যাল মিডিয়া দেখলেই বোঝা যায়।
অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ব্যস্ততা কতটা, সেটা তাঁকে দেখেই বোঝা যায়। জীবনে ব্যস্ততার সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু সেই মানুষটিই ছুটির দিনে বাড়িতে জানলায় নতুন পর্দা টাঙাতে পছন্দ করেন, ইদানিং বাগান করায় মন দিয়েছেন। অনির্বাণ বরাবরই মাটির কাছের মানুষ। তাই তাঁর স্টারডম চোখে পড়ে না। অনির্বাণ নিজে কাজে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করেন। তাই তিনি জীবনে ‘চাপ’কে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ। তাঁর সহজ যুক্তি, জীবনে চাহিদা বাড়লে চাপও তৈরি হবে।
বিয়েটা আচমকাই সেরে ফেলেছিলেন টলিউডের সফলতম অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। বিয়ের সময়ই দেখা গিয়েছিল তাঁর স্ত্রী তথা নাট্যকর্মী মধুরিমা গোস্বামীকে। এরপর বহু বছর তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়নি। ডিভোর্সের গুঞ্জন শোনা গেলেও সেই গুঞ্জনকে নস্যাৎ করেছেন অনির্বাণের স্ত্রী মধুরিমা। যদিও তাঁদের দুজনের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ব্যক্তিগত জীবনের কোনও ছবি নেই।