গত নভেম্বরেই কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর ঘরে এসেছে তাঁদের লক্ষ্মী মা কৃষভি। জন্মের পর থেকেই কৃষভিকে সকলের আড়ালেই রেখেছিলেন এই তারকা দম্পতি। কাঞ্চন ও শ্রীময়ী ঠিক করেছিলেন যে কৃষভির মুখেভাতের দিনই মেয়েকে সকলের সামনে নিয়ে আসবেন। আর সেই অনুযায়ী, গত ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ইসকনে মেয়ের মুখে ভাত দেওয়ার পরই কৃষভির মুখ সকলে দেখতে পান। বাবা কাঞ্চনের মতোই হয়েছে মেয়ে। একরত্তিকে নিয়েই কাজের ফাঁকে সময় কাটছে কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্রীময়ী জানিয়েছেন যে কৃষভি সবচেয়ে বেশি কার কাছে থাকেন।
এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শ্রীময়ী জানিয়েছেন যে তিনি আর কাঞ্চন কৃষভিকে জন্ম দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু কৃষভির আসল মা-বাবা হলেন তাঁর দাদু-দিদাই। অভিনেত্রী জানান যে আজ যদি তাঁর মা-বাবা না থাকত তাহলে হয়তো তিনি এই শ্যুটিং ফ্লোরে দাঁড়াতে পারতেন না। শ্রীময়ী কথায়, ন্যানিদের ভরসায় সন্তানকে ছেড়ে আসা যায় না। কারণ কৃষভি এখন মাটির তাল, ওকে যেভাবে গড়বে ও সেভাবে বড় হবে। প্রসঙ্গত, নভেম্বরে কৃষভির জন্মের পর এই কিছুদিন হল শ্রীময়ী অভিনয়ে কামব্যাক করেছেন।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে তাঁর প্রথম প্রথম কৃষভিকে ছেড়ে কাজে যেতে একটু অস্বস্তি হত। শ্রীময়ীর মনে হত ৬ মাস পর কাজে গেলে হয়তো ভাল হত। কিন্তু শ্রীময়ীর মায়ের কাছেই কৃষভি এখন সারাটা দিন থাকে। আর সেই ভরসাতেই শ্রীময়ী ফের সিরিয়ালে কামব্যাক করার সাহস দেখাতে পেরেছেন। বুলেট সরোজিনী সিরিয়ালের মাধ্যমে কামব্যাক করছেন শ্রীময়ী। এই সিরিয়ালে তিনি নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করবেন। এর পাশাপাশি শ্রীময়ীকে দেখা যাবে রক্তবীজ ২ ছবিতেও।
৩০ এপ্রিল ইসকনের মহারাজ কৃষভির মুখে ভাত দেন। এদিন কৃষভি পরেছিল লাল বেনারসী জামা। সকলেই ছোট্ট কৃষভিকে দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। মুখেভাতের সকালে কাঞ্চনের বাড়িতেই হয়েছিল গায়ে হলুদ ও নান্দীমুখ। এরপর পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইসকন মন্দিরে চলে যান শ্রীময়ী ও কাঞ্চন। সেখানেই দিদার কোলে বসে কৃষভির মুখেভাত হয়। আর এইদিনই কালীঘাটে মায়ের ভোগ ও মাছ দিয়ে আরও একবার মুখেভাত হয় কৃষভির।