ভাইফোঁটার দিনটি বোন পল্লবীর কাছে ফোঁটা নেবেন প্রসেনজিৎ এরকমটা হয় না। বেশ ধুমধাম করেই ভাইফোঁটা উদযাপন করেন পল্লবী-প্রসেনজিৎ। আগে কলকাতায় যখন বোন থাকতেন তখন তাঁর বাড়িতে গিয়ে প্রসেনজিৎ ফোঁটা নিয়ে আসতেন। কিন্তু এখন মুম্বইতেই বেশিরভাগ সময় থাকেন পল্লবী। গত বছর পর্যন্ত প্রসেনজিৎ মুম্বইতে গিয়ে ফোঁটা নিয়ে এসেছিলেন। তবে এই বছর ভাইফোঁটা হচ্ছে না পল্লবী ও প্রসেনজিতের।
এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে পল্লবী জানিয়েছেন যে তিনি এখন কাজের সূত্রে মুম্বইতে রয়েছেন। আর প্রসেনজিৎ যদি কোনও কাজে এখানে আসেন তবেই ভাইফোঁটা হবে। যদিও পল্লবী ভিডিও কলে ভাইফোঁটা সারার কথা ভাবেনও না। পল্লবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি মন্দিরে গিয়ে ফোঁটা দিয়ে আসবেন। জানালেন, দুজনের কাছেই কাজ সবচেয়ে বড় প্রায়োরিটি। কাজের সঙ্গে আপোস করা তাই একেবারেই না পসন্দ।
ভাইফোঁটার দিনটা প্রসেজিতের কাছে আরও বেশি বিশেষ কারণ এইদিন বোনের হাতের রান্না কবজি ডুবিয়ে খান অভিনেতা। এমনিতে তো প্রসেনজিতের কড়া ডায়েটের কথা সকলেই জানেন। কিন্তু এইদিন তিনি একটু হলেও ডায়েট থেকে বেরিয়ে একটু খাওয়া-দাওয়া করে থাকেন। ভাইফোঁটার দিন নিজের হাতে রান্না করতে ভালোবাসেন পল্লবী। দাদার জন্য একাধিক পদের পাশাপাশি পায়েসও রান্না করেন তিনি। বোনের হাতে পাতলা মাটনের ঝোল খেতে খুব পছন্দও করেন প্রসেনজিৎ। শুধু তাই নয়, ছোট থেকে এদিনটায় ফোঁটা দেওয়ার পর পায়েস খাওয়ান দাদাকে। প্রসেনজিৎও দু চামচ হলেও খান পায়েস।
গত বছরেও প্রসেনজিৎ ফোঁটা নিতে চলে গিয়েছিলেন মুম্বইতে। সেখানে বোন পল্লবীর হাতে ফোঁটা নেন। সেই সময় মুম্বইতে প্রসেনজিতের কাজও ছিল। তাই এক ঢিলে দুই পাখি মেরে নেন অভিনেতা। সেবার হলুদ শাড়িতে সেজেছিলেন পল্লবী। আর হালকা নীল হাফ হাতা শার্ট আর টর্নড জিনস পরেই ফোঁটা নেন তিনি। তবে এই বছর বোনের কাছে ফোঁটা নেওয়ার সুযোগ পান কিনা এখন সেটাই দেখার।