আরজি কর কাণ্ডের ঘটনায় গোটা দেশ সরগরম। প্রতিবাদের সুর শোনা যাচ্ছে সকলেরই গলায়। টলিউড তারকারাও চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সরব হয়েছেন। কেউ বা হাঁটছেন মিছিলে কেউ বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন। দেব বিদেশে থাকলেও সেখান থেকেই তিনি নিজের ছবির টিজার মুক্তি পিছিয়েছেন। একই পথে হেঁটেছেন পরিচালক-অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়। তবে এতকিছুর মধ্যেও চুপ ছিলেন টলিউডের অভিভাবক হিসাবে যাঁকে দেখা হয় সেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আসলে তিনি শহরে ছিলেন না। তবে নিজের শহরের এই ধরনের ভয়াবহ ঘটনার কথা তাঁর কানেও এসেছে। আর শহরে ফিরেই তিনি আর চুপ থাকতে পারেননি।
প্রসেনজিৎ এদিন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে লেখেন, আরজি করে ঘটা ঘৃণ্য ঘটনায় আমি মর্মাহত। আমার চেতনা ও প্রার্থনা ওঁর পরিবারের প্রতি রয়েছে। এই অপূরণীয় ক্ষতির তো কোনও ক্ষমা নেই। যে কষ্টের মধ্যে দিয়ে ওঁর প্রিয়জনেরা যাচ্ছেন সেই কষ্ট শেষ করার মতো আমার কাছে কোনও শব্দ নেই। হ্যাঁ, আমিও ন্যায়বিচারের দাবি করছি। আমাদের সকলের একজোট হতে হবে। সত্যি যাতে সামনে আসে তা দেখতে হবে। চলুন সবাই এক হই। নির্যাতিতার বিচার চাই। এই ধরনের ঘটনা যাতে আগামীতে না ঘটতে পারে। প্রসঙ্গত, প্রসেনজিৎ তাঁর গায়ে কোনও রাজনৈতিক রং লাগাতে দেননি। যখন যেরকমভাবে তাঁকে প্রয়োজন হয়েছে, তাঁকে সেখানে পাওয়া গিয়েছে। রাজনৈতিক মিছিল-মিটিংয়েও প্রসেনজিৎ থাকেন না।
কিছুদিন আগেই টলিপাড়ায় শ্যুটিং বন্ধ নিয়ে ফেডারেশনের সঙ্গে সংঘর্ষ তুঙ্গে উঠেছিল। সেই সময় প্রসেনজিৎকে দেখা গিয়েছুল অগ্রণী ভূমিকা নিতে। তাঁর বাড়িতেই পরিচালকরা আলোচনা করেন এ বিষয়ে। শুধু তাই নয়, টলি পাড়ার অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও গিয়েছিলেন অভিনেতা। সঙ্গে অবশ্য ছিলেন দেব ও গৌতম ঘোষ। তাই কলকাতায় ঘটা এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নিজেকে আর চুপ করিয়ে রাখতে পারলেন না প্রসেনজিৎ। প্রসেনজিৎ ছাড়াও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যা, ঋদ্ধি সেন, কৌশিক সেন, শ্রীলেখা মিত্র সহ একাধিক জনকে।
১৪ অগাস্ট, বুধবার রাত ১১টায় কলকাতা সহ জেলার একাধিক জায়গায় মেয়েরা জমায়েত হবেন। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ও তাঁদের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করতে স্বাধীনতা দিবসের আগের দিনের রাত দখল করবেন মেয়েরা। টলিউডের একাধিক তারকারা এই জমায়েতে সামিল হতে চলেছেন।