ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ব্যস্ত নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিনয় জাতীয় স্তরে প্রশংসিত। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। বয়স ৬০ পেরোলেও অভিনেতাকে দেখে বোঝার উপায় নেই। এখনও চিরযৌবন প্রসেনজিৎ। আর সেই অভিনেতার ছেলে তৃষাণজিৎ ওরফে মিশুক। সরস্বতী পুজোর দিন এক ফ্রেমে ধরা দিলেন বাবা-ছেলে।
এদিন প্রসেনজিৎ ও মিশুক দুজনেই একই ছবি পোস্ট করেছেন। প্রসেনজিৎ পড়েছেন ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবি, গলায় সুন্দর কাজ করা। অপরদিকে ছেলে পড়েছেন হালকা নীল রঙের পাঞ্জাবি। বাপ-ছেলে একেবারে আলাদা মেজাজে সময় কাটাতে দেখা গেল। আর এই ছবি পোস্ট করে প্রসেনজিৎ লিখলেন, ১২ বছর পরে মিশুকের সাথে বাড়ির সরস্বতী পুজোয়। আর এই পোস্ট দেখেই বোঝা গেল যে বুম্বাদার বাড়িতেও সরস্বতী পুজো হচ্ছে। আর পুজোর দিনটা পরিবারের সঙ্গেই কাটালেন অভিনেতা।
প্রসেনজিৎ ও অর্পিতার একমাত্র সন্তান তৃষাণজিৎ ওরফে মিশুক। ইউরোপে স্কুলজীবন কেটেছে। তার পর দেশে ফেরেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মাঝে মধ্যেই বাবার সঙ্গে ফিল্মি পার্টিতে দেখা যায় মিশুককে। দৈহিক উচ্চতায় তিনি বাবাকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। বাবা সুপারস্টার। ছেলের যে অভিনয় জগৎ নিয়ে একেবারেই চিন্তাভাবনা নেই, তেমনটা নয়। তবে, পড়াশোনা শেষ না করে কখনই কর্মজীবন শুরু করবেন না বলেই খবর। ভাল ফুটবলও খেলেন প্রসেনজিৎ-পুত্র।
গত বছরই দক্ষিণ ভারতের এক নামী প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হন তৃষাণজিৎ। ছোট থেকে ফুটবল অনুরাগী তৃষাণজিৎ। বাবার ছবির জন্য রিল বানানাো কিংবা অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার সঙ্গে নাচ, তৃষাণজিৎ প্রচারের আলোতেই বেড়ে উঠেছেন। বাড়ির পুজোতে নয় কখনও প্রসেনজিৎ থাকতে পারতেন না আর নয়তো ছেলে মিশুককে সঙ্গে পেতেন না। কিন্তু এই বছরের সরস্বতী পুজো সেই সুযোগ এনে দিল। দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে সরস্বতী পুজো একসঙ্গে কাটালেন অভিনেতা ও তাঁর ছেলে। অনেকেই ভাবছেন যে, খুব তাড়াতাড়িই হয়তো বড় পর্দায় দেখা যাবে প্রসেনজিতের ছেলেকে। যদিও নায়কের তরফ থেকে এমন কিছুই জানা যায়নি।