কখনও শাড়ি নিয়ে মন্তব্য আবার কখনও বা বিবাহিত নারীদের শাঁখা-পলা পরা নিয়ে মন্তব্য, এইসব নিয়ে মাঝে মাঝেই বিতর্কের কেন্দ্রে থাকেন অভিনেত্রী তথা নৃত্যশিল্পী মমতাশঙ্কর। তবে কখনও নিজের করা মন্তব্য থেকে পিছিয়ে আসেননি বরং অভিনেত্রী যেটা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন সেটাই তিনি বলেন আর যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এবার কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে যুগলদের চুমু নিয়ে মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা আরও একবার ভাইরাল।
সম্প্রতি কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে এক যুগলের KISS তুমুলভাবে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে নেটিজেনদের একাংশ যেমন সাধুবাদ জানিয়েছেন তেমনি কেউ কেউ এটাকে বাঁকা নজরেই দেখেছেন। পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত, শ্রীলেখা মিত্র এঁরা অনেকেই মেট্রো স্টেশনের এই চুমুকে সমর্থন করেছেন। তবে এই বিষয়ে একেবারে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন মমতাশঙ্কর। এক ছবির প্রিমিয়ারে এসে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতাশঙ্কর বলেন, 'এর মতো খারাপ জিনিস হয় না। আমি এর বিরুদ্ধে। কারণ, এরপরে সমস্ত কিছু করার সাহস হয়ে যাবে। স্থান-কাল-পাত্র বলে কোনও ব্যপার থাকবে না! এটা কী, আমরা কী! জন্তুরাও তো আমাদের থেকে অনেক ভালো। এইজন্যই তো এসব হচ্ছে আজকাল, এত রেপ হচ্ছে, আজকাল এতকিছু হচ্ছে। বাচ্চাদের হাতে ফোন যাচ্ছে, ওরা ছোট থেকেই এইসব দেখছে। ওদের মূল্যবোধ কোথায় যাবে।'
অভিনেত্রী এরপর আরও বলেন, 'ভালোবাসা মানুষের মধ্যে থাকবেই, কিন্তু সেটার আরও মাধুর্য বাড়ে সেটার আব্রু থাকলে। বিদেশ থেকে যেগুলো খারাপ জিনিস, যেগুলো ওরা বর্জন করছে, সেগুলোকে আমরা নিচ্ছি।' মমতাশঙ্করের করা এই মন্তব্য আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় তুলেছে। অনেকেই জানিয়েছেন যে মেট্রো স্টেশনে চুমুর কারণে ধর্ষণ বাড়ছে এই ধরনের মন্তব্য করা একেবারেই ঠিক নয়। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও শাড়ির আঁচল ঠিক করে পরা নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, আজকাল শাড়ি পরব, কিন্তু আঁচল ঠিক থাকবে না! এটা না আমি বুঝতে পারি না। ক্ষমা করবেন এটা বলছি বলে, আগে যাঁদের আমরা রাস্তার মেয়ে বলতাম, যাঁরা ল্যাম্পপোস্টের নীচে দাঁড়িয়ে থাকেন, এইরকম মেয়ে বলতাম। তাঁরা ওইরকম ভাবে দাঁড়াতেন।
অভিনেত্রীর এই মন্তব্যের পর টলিউডে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শ্রীলেখা, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় সহ অনেকেই মমতাশঙ্করের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। তবে অভিনেত্রী বরাবরই নিজে যেটা বিশ্বাস করেন বা মেনে চলেন সেটাই সকলের সামনে তুলে ধরেন। তাই কোনওদিনই নিজের মন্তব্য থেকে সরে আসতে দেখা যায়নি তাঁকে।