গত বছরই রাজনীতিতে পা দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ পদ লাভ করেন রচনা। তারপর থেকেই জীবনের অনেকটা অংশ বদলে গিয়েছে। ভোটের লড়াইতে নেমে প্রচার করতে গিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন রচনা আর তার জেরেই একাধিকবার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন সাংসদ। তবে এইসব ট্রোল নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন সাংসদ-অভিনেত্রী। এবার বাজেট অধিবেশনে দিল্লি গিয়েছিলেন সাংসদ রচনা। আর সেখানেই বাবা রামদেবের সঙ্গে ছবি তুলে ফের ট্রোলের মুখে পড়তে হল দিদি নম্বর ১-কে।
শনিবার ছিল সংসদে বাজেট অধিবেশন। আর সেই অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন রচনা। অধিবেশনের ফাঁকে বাবা রামদেবের সঙ্গে একান্তে দেখা করেন তিনি। শুধু তাই নয়, বাবা রামদেবের আশীর্বাদও নেন। এদিন রচনা পরেছিলেন কালো রঙের লম্বা কুর্তি ও চেক প্যান্ট আর সঙ্গে গলায় জড়ানো মাফলার। চোখে চশমা। সেই ছবি পোস্ট করে রচনা লেখেন, আশীর্বাদ। আর এই ছবি পোস্ট হতেই রচনাকে নিয়ে ট্রোল শুরু হয়।
রচনা ও বাবা রামদেবকে ছবিতে দেখে কেউ কেউ লেখেন, 'পিসি রেগে যাবে তো।' আর একজন লেখেন, 'এবার গেরুয়া শিবিরে ঝাঁপ দিল বলে।' এক ব্যক্তি লেখেন, 'উনি দেখতে পেলে কিন্তু বকা দেবে।' তবে রচনা এইসব মন্তব্যের কোনও জবাব দেয়নি। বাবা রামদেব ও রচনা দুজনেই ফিটনেস ফ্রিক। তাই রামদেবের কাছ থেকে রচনা তাঁর রোজের শরীরচর্চার কোনও টিপস পেয়েছেন কিনা সেটা জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত রচনা এদিন আরও একটি পোস্ট করেন যেখানে তাঁরা বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। তাঁর সঙ্গে সেখানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ, প্রমুখকে দেখা গিয়েছে। তাঁরা সংসদের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। এদিন জুন এবং সায়নীকে শাড়িতে দেখা গেলেও, রচনা ধরা দেন চুড়িদারে। তবে রচনা একা নন, তাঁর সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন স্বামী প্রবীরও। এখন সাংসদের সঙ্গে সব জায়গাতেই তাঁর স্বামীকে দেখা যাচ্ছে।
সাংসদের কাজের পাশাপাশি রচনা দিদি নম্বর ১-এও সঞ্চালনার দায়িত্বে রয়েছেন। এই দুই কাজই তিনি দক্ষ হাতে সামলান। অপরদিকে রচনার শাড়ির ব্যবসাও আছে, যেটার দেখভাল করেন স্বামী প্রবীর। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর রচনার ব্যস্ততা যে বেড়ে গিয়েছে তা বলাই বাহুল্য।