শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসের দিনই প্রয়াত হলেন অভিনেত্রী ও বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই অভিনেত্রী তাঁর মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন। মাকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি তাঁর মায়ের মৃত্যুর খবর সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন। মাঝে মধ্যেই অভিনেত্রীর মা হাসপাতালে ভর্তি থাকতেন।
রূপা গঙ্গেপাধ্যায় একটি ছবি তাঁর ফেসবুকে শেয়ার করেন। যেখানে তিনি তাঁর মাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারপরই লেখেন, আজ মা চলে গেলেন, বাবার সঙ্গে দেখা করতে। রূপার জীবনের অনেকটা জুড়েই ছিলেন তাঁর মা। একাধিক সাক্ষাৎকারে মায়ের কথা বারংবার উঠে এসেছে তাঁর কথায়। মেয়ে রূপাকে একা হাতেই মানুষ করেছেন তাঁর মা। সেই সময় অভিনেত্রীর বাবা থাকতেন বাংলাদেশে। বিজেপি নেত্রী একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর মা হাতের কাজ খুব ভাল জানতেন। সংসার চালানোর পাশাপাশি মেয়েকে মানুষ করার জন্য হাতের কাজ ছিল তাঁর একমাত্র সম্বল। জানা যায়, বড়বাজার থেকে কাপড় কিনে এনে সায়া, পর্দা, কুশন কভার, বালিশের কভার বানাতেন অভিনেত্রীর সদ্যপ্রয়াত মা।
পরে মায়ের থেকে হাতের কাজ শিখে নেন রূপাও। পড়াশোনার ফাঁকে মাকে সাহায্য করতেন তিনিও। বহু কষ্টে মা-মেয়ের সংসার চলত। এই বছরের মার্চে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁর গ্ল্যামার ও স্টাইলের জন্য, যেটি তিনি উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর মাকে। সেই সময়ও রূপার শেয়ার করা ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁর মা শয্যাশায়ী। লম্বা সময় অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বিগত কয়েকবছর ধ্যানজ্ঞান সবটাই ছিল রাজনীতি। কিছু বছর আগে মেয়েবেলা সিরিয়ালে কামব্যাক করলেও, তা মাঝপথেই ছাড়েন অভিনেত্রী। তবে সম্প্রতি ‘রঘু ডাকাত’ দিয়ে ফিরেছেন অভিনয়ে। এই সিনেমায় রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের এক অন্য ধরনের লুকস সামনে এসেছে।
তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও, চেষ্টা করতেন মাকে সময় দেওয়ার। বহুদিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মা। মাঝেমধ্যেই অনেকটা দিন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হত তাঁকে। শুক্রবারই অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদের মা প্রয়াত হন।