স্বামী যিশু সেনগুপ্ত সিনেমার কাজে ব্যস্ত হলেও স্ত্রী নীলাঞ্জনা বহু বছর হয়ে গেল বিনোদন জগত ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁর ও যিশুর প্রযোজনা সংস্থার পুরো দায়িত্বটাই সামলান নীলাঞ্জনা। তারওপর রয়েছে সংসার ও দুই মেয়ের দায়িত্ব। যিশুর যোগ্য ঘরণী যাকে বলে। সদ্যই মাতৃহারা হয়েছেন নীলাঞ্জনা। ফেব্রুয়ারিতেই মৃত্যু হয়েছে ৭৯ বছরের অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিকের। মা হারানোর যন্ত্রণায় কাতর নীলাঞ্জনা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজেও জানিয়েছিলেন তিনি কতটা মিস করছেন তাঁর মাকে। আর মায়ের জন্যই এই কাজটা করলেন যিশু-পত্নী।
মা নীলাঞ্জনা ও মেয়ে সারা মিলে ট্যাটু করালেন। সারা একটু অন্যধরনের ট্যাটু করালেও নীলাঞ্জনার ট্যাটু আবেগে ভরা। তিনি তাঁর মায়ের জন্য এই ট্যাটু করান। হাতে লেখালেন মাম্মি। আর এই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে নীলাঞ্জনা লেখেন, এটা তোমার জন্য মা। মেয়ের সঙ্গে ট্যাটু করাতে গিয়েছিলেন নীলাঞ্জনা। সেখান থেকেই কয়েকটি ছবি শেয়ারও করেছেন তিনি। সারার হাতে প্রজাপতি ও পিঠে অর্ধচন্দ্রাকার ট্যাটু। তবে নীলাঞ্জনা ট্যাটু করালেন তাঁর মাকে স্মরণ করেই। নীলাঞ্জনার এই পোস্টে মিমি চক্রবর্তী সহ অনেকেই কমেন্ট করেছেন।
মা অঞ্জনা ভৌমিকের মৃত্যুর কয়েকদিন পর নীলাঞ্জনা তাঁর মা ও সঙ্গে দুই পোষ্যের ছবি দিয়ে শুধু মৃত্যুর তারিখটি ক্যাপশনে লেখেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় অঞ্জনা ভৌমিকের। বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। ‘চৌরঙ্গী’, ‘থানা থেকে আসছি’, ‘নায়িকা সংবাদ’-এর মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় এখনও মনে রেখেছেন দর্শক। ষাট থেকে আশির দশকে ‘স্টার নায়িকা’দের মধ্যেও তিনি ছিলেন নিজস্বতায় উজ্জ্বল। যথেষ্ট শক্তিশালী অভিনেত্রী হলেও একটা সময়ের পর তিনি অভিনয় থেকে সরে যান। রুপোলি জগতের সঙ্গে নিজে থেকেই যোগাযোগ ছিন্ন করেন তিনি। ওঁর দুই মেয়ে নীলাঞ্জনা এবং চন্দনা দু’জনেই এক সময় অভিনয় করতেন। এখন নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত টেলিভিশনের নামী প্রযোজক। মায়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত।
কিছুদিন আগেই দোলে যিশু সেনগুপ্তের বাড়িতে জমিয়ে রং খেললেন সৌরভ-দর্শনা, বনি-কৌশানী, রাহুল-প্রীতি, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। এঁদের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গ দিলেন যিশু ও নীলাঞ্জনা। বাড়ির ছাদে বাথটব বানিয়ে তাতে রং দেওয়া জলে সকলেই ডুব দিলেন। কাউকে দেখে বুঝতে পারবেন না এঁরা আসলে টলিউড তারকা।