টলিপাড়ার বং ক্রাশ হিসাবেই পরিচিত ঋতাভরী চক্রবর্তী। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ঋতাভরী নিজের অভিনয়ের জোরে পা জমিয়ে ফেলেছেন। পুজোতেই মুক্তি পাচ্ছে শিবপ্রসাদ-নন্দিতার বহু প্রতীক্ষিত ছবি বহুরূপী। সেই ছবিতে আবারও দেখা যাবে আবীর ও ঋতাভরীকে জুটি বাঁধতে। ছবিতে আবীর ও ঋতাভরীর বেশ কিছু রোম্যান্টিক দৃশ্যও রয়েছে। কিন্তু পর্দার প্রেম চুটিয়ে চললেও ব্যক্তিগত জীবনে প্রেমের সম্পর্কে আর নেই ঋতাভরী।
এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ঋতাভরী জানিয়েছেন যে তিনি মনোবিদ তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আর সম্পর্কে নেই। অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে তিনি ডাক্তারবাবুকে আর বিয়ে করছেন না। তবে তাঁর জীবনে নতুন প্রেম এসেছে। কিন্তু এখনই সেই প্রেম বা সেই ব্যক্তির কথা প্রকাশ্যে আনতে চান না ঋতাভরী। অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন যে তিনি ও তথাগত ভাল বন্ধু। তাঁর শরীর খারাপ হলে এখনও ডাক্তারবাবু তাঁর খোঁজ নেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ঋতাভরীর দুটো বড় অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তখনই তাঁকে মানসিকভাবে সামলেছিলেন তথাগত। সেখান থেকেই তাঁদের প্রেমের সূত্রপাত হয়। ২০২২ সালে তথাগত-ঋতাভরীর বিয়ের খবর পাকা হয়। তবে গত বছর তাঁদের ব্রেকআপের খবর শোনা গেলেও পরে সবকিছু মিটমাট করে নেন তথাগত-ঋতাভরী। সেই বছর দুর্গাপুজোতেও তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোতেও দুজনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। মার্চ মাসে তথাগতর জন্মদিনে আদুরে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ঋতাভরী। যা দেখে অনেকেরই ধারণা হয় সম্পর্ক অটুট আছে দুজনের। কিন্তু ভাঙা সম্পর্ক যে কখনও জোড়া লাগে না তা ফের প্রমাণিত হল।
সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী এও জানান যে তিনি কোনও ভুল মানুষকে বিয়ে করতে চান না। তবে তাঁর দিদি চিত্রাঙ্গদা ও সম্বিতের বিয়েটা দেখে নায়িকার মনে হয় বিয়েটা সুন্দর। প্রসঙ্গত, ঋতাভরী যখন খুব ছোট তখনই দেখেছিলেন মা-বাবার মধ্যে সমস্যা। এমনকী, নিজের মা-কে শারীরিক নির্যাতনের মুখে পড়তেও দেখেছেন। একাই শতরূপা বড় করেছেন দুই মেয়েকে। বাবার সঙ্গে শেষ দিন অবদিও বিশেষ সম্পর্ক ছিল না অভিনেত্রীর। তাই হয়তো, নিজের প্রেম থেকে বিয়ে, সবটাই বিশেষ ভেবেচিন্তে করতে চান।