ম্যাটিনি কুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে দেখলে তাঁর বয়স বোঝার জো নেই। কিন্তু তিনি দুই সন্তানের মা। ছেলে অঙ্কন ও মেয়ে ঋষণা। তবে অভিনেত্রীর দুই সন্তান এখন আর ছোটটি নেই। বেশ বড় হয়ে গিয়েছে অঙ্কন ও ঋষণা। ছেলে কলকাতায় থাকলে ঋতুপর্ণা তাঁকে নিয়ে এখন ফিল্মি পার্টি ও তারকাদের বাড়িতে নিয়ে যান। সেই অঙ্কনের জীবনে আজ সত্যিই বড়দিন। মা হিসাবে ঋতুপর্ণা খুবই গর্বিত।
পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায় তাঁর ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে একটি ছবি পোস্ট করেন। যেখানে ঋতুপর্ণা, তাঁর স্বামী সঞ্জয় ও দুই সন্তানকে দেখা যাচ্ছে। তবে এই ছবির মধ্যমণি হলেন ঋতুপর্ণা-পুত্র। যিনি বস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হলেন। আর তাঁরই সাফল্যে গোটা পরিবার পৌঁছে গিয়েছে আদরের অঙ্কনের কাছে। ছেলে অঙ্কন পরে রয়েছেন স্নাতকের সময় যে কোর্টগুলো পরায় সেরকম লাল রঙের পোশাক, মাথায় কালো টুপি। হাতে ফুলের বোকে ধরা, মায়ের কাছ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে অঙ্কন আর পাশে বোন ঋষণা। আর বাবা সঞ্জয় ছেলের গর্বে গর্বিত, তাঁর হাতে ধরা অঙ্কনের গ্র্যাজুয়েশনের শংসাপত্র।
ঋতুপর্ণাকে কাজের সূত্রে কলকাতায় থাকতে হলেও স্বামী সঞ্জয় ও দুই সন্তান সিঙ্গাপুরেই থাকেন। ঋতুপর্ণা কাজ থেকে সময় পেলেই সিঙ্গাপুরে সংসার সামলাতে চলে যায়। দুই সন্তানের পড়াশোনাও সিঙ্গাপুরেই। সেখানকার স্কুলেও হায়ার সেকেন্ডারি দেওয়ার পর অঙ্কন চলে যান উচ্চশিক্ষার জন্য বস্টন ইউনিভার্সিটিতে। উচ্চতায় মাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন অঙ্কন। তবে ছেলে বা মেয়ে কাউকেই খুব একটা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ে আসেন না অভিনেত্রী। অঙ্কন এখন বড় হওয়ায় ঋতুপর্ণা তাঁকে নিয়ে এদিক-ওদিক যাচ্ছেন। কিছুমাস আগেই কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বাড়িতে দেখা গিয়েছিল ঋতুপর্ণা ও তাঁর ছেলেকে। এছাড়াও সুচিত্রা সেনের বাড়িতেও ঋতুপর্ণা নিয়ে যান ছেলে অঙ্কনকে।
১৯৯৯ সালে সঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কর্মসূত্রে সিঙ্গপুরেই থাকেন সঞ্জয় চক্রবর্তী, সেখানে তাঁর একটি কোম্পানি রয়েছে বলে জানা যায়। স্বামী-স্ত্রী দুজনে ভিন্ন শহরে থাকলেও তাঁদের ভালবাসা এখনও অটুট রয়েছে। দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার ঋতুপর্ণার। পেশা জীবনের সঙ্গে সঙ্গে সংসার জীবনও সুন্দরভাবে ব্যালেন্স করেন অভিনেত্রী। ঋতুপর্ণাকে শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছে পুরাতন ছবিতে। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের প্রযোজনা সংস্থাও খুলেছেন অভিনেত্রী।