কথায় আছে সন্তানকে নাকি মা-বাবার বিয়ে দেখতে নেই। এতে সন্তানের অকল্যান হয়। আর সেই মিথকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র তাঁর ছেলেকে কোলে বসিয়েই সারলেন বিয়ের যাবতীয় রীতিনীতি। ১৯ এপ্রিল শুক্রবার শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে বিয়ে করলেন রূপাঞ্জনা ও রাতুল। আর তাঁদের সেই বিয়ের সাক্ষী থাকল রূপাঞ্জনার ছেলে রিয়ান।
সিঙ্গেল মাদার হিসাবেই রিয়ানকে বড় করে তুলেছিলেন রূপাঞ্জনা। প্রথম স্বামী রেজাউলের সঙ্গে ডিভোর্সের পর ছেলে রিয়ান ও রূপাঞ্জনা নিজেদের আলাদা দুনিয়া গড়ে নিয়েছিলেন। এরপরই রূপাঞ্জনার জীবনে প্রবেশ করেন রাতুল। টলিপাড়ার চেনা মুখ। শুটিং ফ্লোরেই নাকি দুজনের আলাপ। তার পর বন্ধুত্ব ও প্রেম। ৬ বছর ধরে লিভ-ইন রিলেশনে থাকার পরই রূপাঞ্জনা ও রাতুল বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। আর ১৯ এপ্রিল ছিল তাঁদের জীবনের সেই মুহূর্তটি। একেবারে বাঙালি রীতি মেনেই বিয়ে করেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। নান্দীমুখ থেকে গায়ে হলুদ সব নিয়মই পালন করা হয়। বিয়ের দিন রূপাঞ্জনার পরেছিলেন লাল রঙের বেনারসী, গলায় গোলাপ ফুলের মালা। সাজগোজ একেবারে ছিমছাম। অপরদিকে বরবেশে রাতুলের পরনে ছিল ধুতি-চাদর।
শুভদৃষ্টি থেকে বিয়ের রীতি, সিঁদুরদান সবেতেই ছেলে রিয়ান সবসময়ই মা রূপাঞ্জনার পাশে ছিল। রিয়ান মায়ের বিয়ের দিন পরেছিল লাল রঙের পাঞ্জাবী। বিয়ের রীতির সময়ই দেখা গেল মা রূপাঞ্জনার কোলে বসে রয়েছে রিয়ান। নতুন করে তার জীবনেও বাবার প্রবেশ হল। গত বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিংয়ে বাগদান সেরেছিলেন ছেলের সামনেই। এবার বিয়েটাও করলেন রিয়ানকে নিয়েই। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে এই বিয়ের আসর বসেছিল। রূপাঞ্জনা ও রাতুলের খুব ঘনিষ্ঠ মানুষজনেরা উপস্থিত ছিলেন এই বিয়েতে।
সিঙ্গল মাদার রূপাঞ্জনা। ২০১৭ সাল থেকে ছেলে রিয়ানকে একাই বড় করেছেন তিনি। রাতুল ও তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কখনও লুকোছাপা করেননি রূপাঞ্জনা। বরং হামেশাই জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক পরিণত। এতে রিয়ানেরও কোনও সমস্যা নেই। তাইতো দার্জিলিংয়ে রাতুল-রূপাঞ্জনার বাগদানের সাক্ষী ছিল রিয়ান। এক সংবাদমাধ্যমকে রূপাঞ্জনা জানিয়েছেন যে ছেলে রিয়ানের কথা মাথায় রেখেই নতুন শুরুর চিন্তাভাবনা। রাতুলের সঙ্গে রিয়ানের বন্ধুর মতো সম্পর্ক। দুজন দুজনকে ‘চ্যাম্প’ বলে ডাকে। আবার রূপাঞ্জনাকে রাতুল-রিয়ান ডাকে ‘ভুটিয়া’ বলে। তিনজন একসঙ্গে থাকলে যেন আর কাউকে লাগে না। রিয়ানের সঙ্গে কথা বলেই রূপাঞ্জনা-রাতুলের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া বলে খবর।