টলিপাড়া তাঁকে চিনেছিল পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের X=প্রেম ছবির মাধ্যমে। সেই সিনেমায় মিষ্টি হাসির এই মেয়ের অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল। এরপর খুব ধীরে ধীরেই শ্রুতি এগিয়ে চলেছেন তাঁর লক্ষ্যের দিকে। কেরিয়ারের প্রথমে শ্রুতি একজন মডেল হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণভাবে সক্রিয় থাকেন। আর বড়দিনে শ্রুতি নেটপাড়ার উষ্ণতা আরও বাড়িয়ে দিলেন তাঁর দুটি ছবি পোস্ট করে।
শ্রুতি যে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন সেখানে তিনি লাল সোফাতে উপুড় হয়ে শুয়ে। শরীরে নেই একটুও সুতো। মেদহীন খোলা পিঠ, হালকা মেকআপ আর হাতে ধরা গুলজারের বই। এই ছবি পোস্ট করে শ্রুতি ক্যাপশনে লেখেন, জিন্দেগি গুলজার হ্যায়...। এরপর লাল রঙের হার্ট ইমোজি দিয়েছেন। শ্রুতির এই ছবি অবশ্যই নেটপাড়ায় উষ্ণতার পারদ চড়িয়েছে। তাঁর থেকে চোখ সরবে না। অভিনেত্রীর এই বোল্ড অবতারে ঘায়েল পুরুষ হৃদয়।
মডেল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলেও সৃজিত মুখোপাধ্যায়ে ‘এক্স প্রেম’ দিয়ে টলিউডে পা রাখেন শ্রুতি দাস। কেরিয়ারের প্রথমেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো পরিচালকের ছবিতে কাজ করে শ্রুতি দাসের জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছে। নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত কঠোর শরীরচর্চা করেন শ্রুতি। শ্রুতি দাসের সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রয়েছে একাধিক হট ফটো। টলিউডে পরবর্তী কালে অভিনেত্রী যে ঝড় তুলতে যাচ্ছেন সেটা বলাই বাহুল্য।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রুতির হটনেস রীতিমতো ঘাম ঝরাবে। তাঁর কিলার ফিগার দেখলে আপনি অভিনেত্রীর প্রেমে পড়তে বাধ্য। সৃজিতের ‘এক্স প্রেম’–এ শ্রুতি দাসের অভিনয় দেখলে বোঝা যাবে না যে তাঁর এটা প্রথম সিনেমা। শ্রুতি দাসের জন্ম কলকাতাতেই। বীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকত্তর করে পাড়ি দিয়েছিলেন দুবাই। দেশে ফিরে বলিউডে অভিনয় শুরু করেছিলেন। ইমতিয়াজ আলির ওয়েব সিরিজ, তারপর একটা থ্রিলার। ইতিমধ্যে ফোনটা আসে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের তরফে। পেয়ে যান ‘এক্স ইকুয়ালস্ টু প্রেম’ ছবির প্রস্তাব।
ইতিমধ্যেই টুকটুক করে শ্রুতি বেশ কয়েকটি সিরিজ-সিনেমাতে কাজ করে ফেলেছেন। টেলি সিরিজ 'বিপত্তারিণী ট্রাস্ট', বাদামি হায়নার কবলে, ঘরে বাইরে আজ, নির্বাসিত ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। টলিউডে পা রেখেছেন খুব অল্প সময়ে। তবে বাংলা সিনেমার পাশাপাশি বলিউডেও কাজ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।