প্রয়াত শ্রীলা মজুমদার। গত ৩ বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর এই প্রয়ানের খবর এক সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর স্বামী। শ্রীলা মজুমদারের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই বিনোদন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ৬০ বছর বয়সে মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর। বাংলার স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী বলা হত শ্রীলা মজুমদারকে।
গত ৩ বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শনিবার দুপুর ২টো ১৫ নাগাদ বাড়িতেই মারা যান শ্রীলা। তাঁর মৃত্যুতে বিনোদন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শ্রীলা মজুমদার কাজ করেছেন বাংলা থেকে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির তাবড় তাবড় অভিনেতাদের সঙ্গে। অভিনেত্রীকে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পালান ছবিতে। টলিউডের ব্যতিক্রমী অভিনেত্রী হলেন শ্রীলা মজুমদার। তাঁর বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের ছবি বিভিন্ন সময়ে ফুটে উঠেছে তাঁর অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে।
উল্লেখ্য, মাত্র ১৬ বছর বয়সে একটি নাটকের মহড়া থেকে তুলে এনে তাকে ছবির জগতে কাজ দিয়েছিলেন স্বনামধন্য পরিচালক মৃণাল সেন। ১৯৮০ সালে, তিনি মৃণাল সেন পরিচালিত পরশুরাম ছবির হাত ধরে চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। তাঁর জীবনে উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে পরিচালক গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ অন্যতম।
শ্রীলা মজুমদার যে টলিউডে এক ব্যতিক্মী অভিনেত্রী সেটা নতুন করে বলার প্রয়োজন বোধ হয় নেই। একের পর এক ছবিতে শ্রীলা তাঁর অভিনয়ে সকলকে মুগ্ধ করে গিয়েছেন। শুধুই কি বাংলা ইন্ডাস্ট্রি? নামি দামি সমস্ত তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন শ্রীলা মজুমদার। এই যেমন তারকা শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ, স্মিতা পাটিলের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন তিনি। এমনকী ২০০৩ সালে তিনি চোখের বালি সিনেমায় ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের জন্য বাংলায় কণ্ঠ দিয়েছিলেন।
তবে নিজের ইচ্ছেতেই তিনি সন্তান জন্মের সময় সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছিলেন কিছুদিনের জন্য। তবে এই সামান্য বিরতি তাঁকে অনেকটা পিছনে ঠেলে দেয়। ছেলে একটু বড় হওয়ার পর যখন তিনি আবারও অভিনয়ে ফিরতে চান তখন দেখেন, আর আগের মতো কাজ আসছে না। কেরিয়ারের অনেকটাই দূরত্ব বেড়ে গেছে। টলিপাড়ার অনেকেরই আক্ষেপ, এত দক্ষ অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও যোগ্য জায়গা পাননি তিনি। একেবারে নিঃশব্দেই চলে গেলেন পরপারে। শনিবারই কেওড়াতলা মহা শশ্মানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।