সপ্তম ও শেষ দফার ভোটগ্রহণ। গোটা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যের ৯টি আসনে চলছে নির্বাচন। কলকাতাতেও সকাল থেকে মানুষ সামিল হয়েছেন এই ভোট উৎসবে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি টলি তারকারাও ভোট দিচ্ছেন, নিজেদের ছবিও পোস্ট করছেন। কিন্তু ভোট দিতে পারলেন না অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও তাঁর বোন অজপা মুখোপাধ্যায়। আর ভোট দিতে না পারায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেত্রী।
দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা স্বস্তিকা। আর তাঁর ও তাঁর বোনের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ছিল গলফ গার্ডেন এলাকার এক স্কুলে। কিন্তু সেখানে গিয়ে স্বস্তিকা ও তাঁর বোন জানতে পারেন যে তাঁদের দুজনেরই নাকি ভোটার লিস্টে নাম নেই। স্বস্তিকা এও জানান যে তাঁর বোনের ভোটার কার্ড আছে তা সত্ত্বেও তাঁর নাম তালিকায় নেই। তবে স্বস্তিকার যে ভোটার কার্ড হারিয়ে গিয়েছে তা নিজের মুখেই জানালেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকা এও জানান যে তঁর মা-বাবার নাম এখনও ভোটার তালিকায় রয়েছে অথচ তাঁদের নামই নেই। এই ঘটনায় খুবই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বস্তিকা। তিনি যে ভোট দিতে গিয়ে ফিরে এসেছেন সেটা একেবারে স্পষ্ট।
স্বস্তিকা এও জানিয়েছেন যে তাঁদের পাশাপাশি তাঁদের বিল্ডিংয়ের অনেক তরুণ-তরুণীরা, যাঁরা ভোট দিতে চান, তাঁদের নামও ভোটার তালিকায় নেই। এই বিষয়ে স্বস্তিকা তাঁর চেনা-পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলেছেন, স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। কিন্তু ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে ভোট দেওয়া যাবে না। অভিনেত্রী তাঁর ভিডিও বার্তায় বলেন যে এটা তাঁর এই দেশের নাগরিক হওার জন্য সবচেয়ে বড় অধিকার, সেটা তিনি ব্যবহার করতে পারলেন না। স্বস্তিকা জানান যে তিনি এরপর জানার চেষ্টা করবেন কী করে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গেল তাঁর। স্বস্তিকা ভিডিও শেষে জানাতে ভোলেন না যে তিনি কতটা বিরক্ত এই ঘটনায়।
স্বস্তিকার পাশাপাশি তাঁর বোন অজোপাও ভোট দিতে পারেননি। বোনের সঙ্গেই ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন অভিনেত্রী। এর আগেও স্বস্তিকা ও তাঁর বোন ভোট দিয়েছেন। কিন্তু এবারই ভোট দিতে পারলেন না। তবে তিনি এরপর ভোটার লিস্টে নিজের নাম তুলবেন বলে জানিয়েছেন। ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী বলেই পরিচিত স্বস্তিকা। যে কোনও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পিছু পা হন না। তাই ভোট দিতে না পেরে নিজের রাগ উগরে দিলেন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।