মা-মেয়ের দুরত্ব কয়েক হাজার কিলোমিটার। একজন কলকাতায় তো আর একজন সুদূর কানাডায়। চাকরিসূত্রে মেয়ে অন্বেষাকে ঘর ছেড়ে বিদেশেই থাকতে হয়। মা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের অভিনয় পেশা সবটাই যেহেতু কলকাতা-মুম্বইয়ে তাই তাঁকে অগত্যা এই দেশেই থাকতে হচ্ছে। তবে সময় পেলেই মেয়ের কাছে পৌঁছে যান স্বস্তিকা। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। কাজ থেকে একটু অবসর পেতেই স্বস্তিকা চলে গিয়েছেন তাঁর মানির কাছে। কিন্তু সেখানে গিয়েও মন উদাস অভিনেত্রীর। সোশ্যাল মিডিয়াতে কারণ জানালেন নিজেই।
কথায় আছে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে। ঠিক তেমনি বাঙালিরা যতই ডায়েট-শরীরচর্চা, ফিট থাকার চেষ্টা করুক না কেন, এক প্লেট বিরিয়ানি সামনে পেলে যেন মনে হয় গোটা স্বর্গটাই পেয়ে গেছেন তাঁরা। তখন ডায়েট ভুলে বিরিয়ানির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন সবাই। বিরিয়ানি লাভারদের মধ্যে টলিউড তারকারাও রয়েছেন, যাঁরা ডায়েটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কিংবা জিম ট্রেনারদের লুকিয়ে গাগ্রোসে বিরিয়ানি খান। আর তারপর জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা করে ক্যালরি ঝরানো। যদিও সেই তালিকায় নাম নেই স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর জীবন চলে তাঁরই মতোন করে। ওজন বাড়লেও কোনও সমস্যা নেই আর ওজন কমানোরও চেষ্টা তিনি খুব একটা করেন না। নিজেকে শুধু ভাল রাখেন, ভাল খাবার খান, ব্যস এটাই।
একাধিক সাক্ষাৎকারেই স্বস্তিকা তাঁর বিরিয়ানির প্রতি ভালোবাসার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। তিনি বিরিয়ানি খেতে ভীষণরকম ভালোবাসেন। কিন্তু বিদেশ বিভুঁইতে গেলে সেখানে আর বিরিয়ানি কোথায়। আর পাওয়া গেলেও কলকাতার বিরিয়ানির স্বাদের কাছে সেই স্বাদ ফিকে। আর বিরিয়ানি না পেয়ে রীতিমতো মন খারাপ স্বস্তিকার। মেয়ের সঙ্গে গিয়েছেন একটি রেস্তোরাঁতে খেতে। কিন্তু মন উদাস। সঙ্গে বিদেশি খাবার থাকলেও মনটা যেন বিরিয়ানি বিরিয়ানি করছে। অভিনেত্রী লেখেন, কলকাতা ফিরে আগে একপ্লেট বিরিয়ানি খাব। আর একটু চিকেন চাপের ঝোল আর ফিরনি, মনে হচ্ছে এক জন্ম খাইনি। স্বস্তিকা আরও লেখেন, বিদেশে একটু কলকাতার বিরিয়ানিটা পাওয়া গেলে কী যে ধন্য ধন্য ব্যাপার হত, কিন্তু ওই যে সব পেলে নষ্ট জীবন। অভিনেত্রী লেখেন. মনে মনে বিরিয়ানিকে স্মরণ করে বাহারি খাবার খাচ্ছি। মুখে উদাসীন ভাবে আবির্ভাব ওই কারণেই।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন যে তিনি কলকাতার বাইরে থাকলে সবচেয়ে বেশি মিস কলকাতার আলু দেওয়া বিরিয়ানিকে করেন। লকডাউনের সময় স্বস্তিকা মুম্বইতে থাকাকালীন বহুবার কলকাতা বিরিয়ানির খোঁজ করেছেন। বিরিয়ানি পেলেও কলকাতার সেই স্বাদ পাননি। এই শহরের অনেক রেস্তোরাঁর বিরিয়ানিই তাঁর ভীষণ পছন্দের।