বরাবর স্পষ্টবক্তা হিসাবেই পরিচিত স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। কখনই কোনও ট্রোল বা কটাক্ষ মুখ বুজে সহ্য করেন না অভিনেত্রী। বরং মোক্ষম জবাব দিয়ে দেন। স্বস্তিকা তাঁর জীবনকে একেবারে নিজের শর্তে চালাতেই পছন্দ করেন। নিজের বয়স, পাকা চুল কোনও কিছুই লোকাতে পছন্দ করেন না স্বস্তিকা। সম্প্রতি অভিনেত্রী তাঁর কিছু ছবি শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেখানেই ট্রোল হওয়ার পর ট্রোলিংয়ের যোগ্য জবাব দিলেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি স্বস্তিকা তাঁর কিছু ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে তাঁকে টিউব টপ ও জিন্স পরে নানান কায়দায় ছবি তুলতে দেখা যায়। এই ছবির ক্যাপশনে স্বস্তিকা লেখেন, আমি ৪৪ বছর বয়সেও ভীষণ হট। জেঠু মার্কা লোকজন এসে আমাকে বুড়ি বলবে, বলবে এই বুড়ি বয়সেও লজ্জা হল না। আরে মশাই যারা কচিতে নির্লজ্জ, তারা বুড়ি হয়েও নির্লজ্জই থাকবে। ওই ভাবেই ঘাটে যাবে, মরতে কেন হঠাৎ ফেসবুকে বুক নিয়ে কচকচানি করা পাবলিকদের জন্য লজ্জা পেতে যাবে বলুন তো? মহা ঝামেলা। আসলে স্বস্তিকার শেয়ার করা ছবিতে তাঁর বক্ষ বিভাজিকা একেবারে স্পষ্ট। আর অভিনেত্রীকে ট্রোলের মুখে পড়তে হবে, তা জেনেই তিনি এই ধরনের ক্যাপশন লেখেন। নায়িকা তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন যে এইসব ট্রোলার ও ট্রোলিং তাঁর কাছে কাজের চাপ কমাতে সাহায্য করে। স্বস্তিকার কথায় এগুলো তাঁকে এন্টারটেনমেন্ট করে।
স্বস্তিকা তাঁর পোস্টে এও জানিয়েছেন যে তাঁর গোল গাল কমছে, তার জন্য অভিনেত্রী ডায়েট, পরিশ্রম সবই চলছে তাঁর। সঙ্গে কিছু জসের কথাও উল্লেখ করেনতিনি। এরপরই স্বস্তিকা এরপর বলেন, এবার ফেসবুকের পুলিশ কাকু কাকিমাদের যদি বলি জুসে মনোযোগ করতে উহু মোটেই করবে না। ফোকাস অনলি অন ফেস অ্যান্ড বুক।
এই পোস্টের পর স্বস্তিকা আরও একটি পোস্ট করেন। যেখানে জনৈক ধর্মেন্দ্র বলে একজনকে মোক্ষম জবাব দেন। সেই ধর্মেন্দ্র মণ্ডল স্বস্তিকাকে উপদেশ দিয়ে লেখেন, ‘অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে, এ বারে অন্তত ভগবানের সংকীর্তন করুন, ভগবানকে কৈফিয়ত দিতে মুশকিল হয়ে যাবে, তিনি সবই দেখতে পাচ্ছেন, ভালো কাজ, খারাপ কাজ, একটু ভালো কাজ করে যান, দেখবেন শান্তি পাবেন।’ জনৈক ওই ব্যক্তির কমেন্টের জবাবে একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকা লেখেন, ‘এই যে ধর্মেন্দ্র বাবু। আমায় অলরেডি কেওড়াতলা পাঠিয়ে দিয়েছেন। মানে আমি অন দ্য ওয়ে। রাসবিহারীতে আটকে আছি। আর বেশি সময় নেই। ৪০ হয়ে গিয়েছে মানেই তো মহিলাদের ডাক এসে গিয়েছে ওপার থেকে। কিন্তু দেখুন ওঁর খাতায় আমার অলরেডি টাইম আপ, কিন্তু এই শেষের সময়েও আমি কীসে শান্তি পাব সেটা এই ধর্মেন্দ্র বাবু ডিসাইড করে দেবেন। HE IS IN DIRECT CONTACT WITH BHOGOBAN. Bhogoban is sending him TO-DO-LIST for me। ভাই লোগ কাল যদি পটকে যাই এঁকে ধরবেন। ইনি আমার মৃত্যুর জন্য ভগবানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছেন।’
স্বস্তিকা এর আগেও তাঁর বয়স, চেহারা নিয়ে ট্রোলের মুখে পড়ছিল। তবে তার জবাবও নায়িকা দেন সপাটে। স্বস্তিকা এইসব ট্রোলিংকে পাত্তা একেবারেই দেন না। যেটা তাঁর মনে হয়, জীবনকে সেভাবেই পরিচালনা করেন তিনি।