বরাবরই আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও স্ত্রী শ্রীময়ী। বারো মাসে তেরো পার্বনই পালন হয়ে থাকে কাঞ্চনের বাড়িতে। আর স্বামীর সঙ্গে এই পুজো-অর্চনায় সঙ্গ দেন শ্রীময়ী। বাড়ির লক্ষ্মীপুজো হোক আর কালীপুজো, নিষ্ঠা সহকারে তা বিধায়ক-অভিনেতার বাড়িতে হয়ে থাকে। ১১ জুন জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা, দিঘার মন্দির হওয়ার পর এটাই প্রথম রথযাত্রা। আর জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে দিঘার মন্দিরে আয়োজন একেবারে অন্যরকম। আর এই স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে দিঘার মন্দিরে সস্ত্রীক পৌঁছালেন কাঞ্চন মল্লিক। সঙ্গে মেয়ে কৃষভিও।
কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বাড়িতে রয়েছে প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথ দেব। আর সেই কারণেই কাঞ্চন ও শ্রীময়ী মেয়েকে নিয়ে দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন। তারকা দম্পতিকে দেখে এদিন দিঘার মন্দিরে আসা দর্শনার্থীরা ছবি ও ভিডিও তুলতে শুরু করেন। এদিন শ্রীময়ী ও কাঞ্চন দিঘার মন্দিরে জগন্নাথ দেবের ছবির সামনে কৃষভিকে নিয়ে ছবি তোলেন। মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়েও ছবি তোলেন শ্রীময়ী। কৃষভিকে নিয়ে এই প্রথমবার সমুদ্রে এলেন এই তারকা দম্পতি। মা-বাবার সঙ্গে ঘুরতে এসে একরত্তিও খুব খুশি।
৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথ দেবের মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টলিউডের তারকাদের পাশাপাশি বিধায়ক কাঞ্চন ও তাঁর স্ত্রী শ্রীময়ীরও এই উদ্বোধনে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেদিনই তাঁদের মেয়ে কৃষভির মুখে ভাতের অনুষ্ঠান ছিল ইসকন মন্দিরে। তাই তাঁরা দিঘায় আসতে পারেননি। তবে বলেছিলেন খুব শীঘ্রই তাঁরা দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে দর্শনের জন্য যাবেন। সেই কথা মতো স্নানযাত্রার দিনই দিঘায় গেলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। মন্দিরে যখন গেছেন তখন অবশ্যই জগন্নাথ দেবের পুজো দিয়েই বাড়ি ফিরবেন।
কাঞ্চন ও শ্রীয়ী দুজনেই ইশ্বর ভক্তিতে মগ্ন। বিশেষ করে কৃষ্ণের প্রতি তাঁদের ঝোঁক বেশি। আর যে কারণে মেয়ের নামও রেখেছেন কৃষভি। দিঘায় মন্দির উদ্বোধনের পর এই প্রথমবার জগন্নাথ মন্দিরে গেলেন তাঁরা। মন্দির ও বিগ্রহ দেখে রীতিমতো মুগ্ধ কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। কিছুদিন আগেই রাজকীয়ভাবে জামাইষষ্ঠী পালন হল কাঞ্চনের। বিধায়কের বাড়িতেই পুরো আয়োজন করা হয়। শ্রীময়ীর দিদি ও জামাইবাবুও কাঞ্চনের বাড়ি আসেন। শ্রীময়ীর মা নিজের হাতে পঞ্চব্যাঞ্জন রেঁধে দুই জামাইকে খাওয়ালেন। এদিন কবজি ডুবিয়ে সব খাবার খান কাঞ্চন। ইলিশ থেকে চিংড়ি, মাটন থেকে মৌরলা মাছের ঝাল, শেষপাতে পায়েস, মিষ্টি, দই। কিছুই বাদ পড়েনি।