একজন খাঁটি বাঙালি আর অন্যজন বাংলাদেশী। তবে দুজনেই একই সূত্রে গাঁথা, তা হল তাঁরা দুজনেই বিনোদন জগতের মানুষ। কথা হচ্ছে টলিউডের ব্যস্ততম পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। আর পাঁচটা বাঙালির মতো সৃজিতও কিন্তু খেতে ভালোবাসেন। আর যেখানে খোদ বাংলাদেশের জামাই তিনি, সুতরাং তাঁর আদর-আপ্যায়ন একটু বেশি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ওপার বাংলায় গেলে তাঁকে রেঁধে বেড়ে যত্ন করে খাওয়ান মিথিলা সহ তাঁর পরিবার।
বাংলাদেশে গেলে কোন কোন পদ খান দশম অবতার-এর পরিচালক? সম্প্রতি ওপার বাংলার এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সৃজিত জানিয়েছেন যে বাংলাদেশে গেলে তাঁর পাতে পদ্মার ইলিশ থাকা মাস্ট। পরিচালক বলেন, বাংলাদেশের ইলিশের বিষয়টাই আলাদা। সঙ্গে লইট্যা শ্যুটকি। সৃজিতের স্ত্রী মিথিলাও জানিয়েছেন যে তাঁর পরিচালক স্বামী খাবার পেলে আর কিছুই চান না।
সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাংলাদেশে আসতে আমার খুবই ভালো লাগে। বাবার বাড়ি ছিল বিক্রমপুর এবং মায়ের ময়মনসিংহ। এখানে এলে তো জামাই আদর মেলে। সঙ্গে খাওয়া দাওয়া। অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। সাংস্কৃতিক আদান প্রদানের ধারাটাও বজায় রয়েছে।” কিছুদিন আগেই জন্মদিন ছিল সৃজিতের। জন্মদিনের আগেই বাংলাদেশে ঘুরে এসেছেন পরিচালক। আর সেখানে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পেটপুজো করেছেন জমিয়ে। সেই ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সৃজিত। সেখানে ইলিশ মাছ ভাজা থেকে চিকেন তেহারি, ডাল, ভাজা, মাটন সহ একাধিক পদ সাজানো রয়েছে।
এমনিতে সৃজিতের পছন্দের খাবার হল মাটন কষা ও বিরিয়ানি। এছাড়া পরোটা কাবাব দিয়ে খেতেও ভালোবাসেন তিনি। পুজোর আগেই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর পরিচালিত দশম অবতার। এই ছবির মাধ্যমেই সৃজিত কপ ইউনিভার্সে প্রবেশ করলেন। যেটা তাঁর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। ইতিমধ্যেই এই ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। ছবিতে একই ফ্রেমে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও যিশু সেনগুপ্তকে।
২০১১ সালের পর ফের একবার প্রবীর রায়চৌধুরী হয়ে পর্দায় প্রত্যাবর্তন করলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে নস্টালজিয়ায় মাখামাখি বাঙালি। পুজো ‘ভাইবস’ সঙ্গে বড় পর্দায় একগুচ্ছ তারকা-কারিগর স্বয়ং সৃজিত, ‘দশম অবতার’ নিয়ে অনেকটা আশাবাদী বক্স অফিস বিশেষজ্ঞরা। ১৯ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবিটি।