অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মার বিচ্ছেদের গুঞ্জনে সরগরম টলিপাড়া। প্রায় ১৪ বছরের দাম্পত্যে চিড় ধরেছে। সুখের সংসারে নেমে এসেছে ঘন কালো মেঘ। এখন আর এক ছাদের তলাতেও থাকেন না যিশু-নীলাঞ্জনা। অনেক আগেই নামের পাশ থেকে মুছে ফেলেছেন 'সেনগুপ্ত' পদবি। বাবার 'শর্মা' পদবী ব্যবহার করছেন নীলাঞ্জনা। এবার নিজের শরীর থেকেও যিশুর শেষ চিহ্ন মুছে ফেললেন তিনি। মহাশিবরাত্রিতে নীলাঞ্জনার শরীরে দেখা গেল সেই পরিবর্তন।
নীলাঞ্জনা তাঁর প্রিয়জনদের নাম ট্যাটু করে শরীরের লিখে রাখতে ভালোবাসেন। জারা, সারা দুই মেয়ের নাম যেমন লেখা, তেমনই মায়ের স্মৃতিতে হাতে মাম্মা ট্যাটু লিখেছেন। সেরকমই নীলাঞ্জনার ঘাড়ে লেখা ছিল যিশুর নামের ট্যাটু। সেই ট্যাটু অনেক আগেই করিয়েছিলেন প্রযোজক নীলাঞ্জনা। কিন্তু সেই ট্যাটু মুছে ফেলেছেন তিনি। যিশুর নাম মুছে সেখানে শিবের ছবি এঁকেছেন নীলাঞ্জনা। যে ছবির নিচে লেখা 'ওম নম শিবায়'। ছবিটি নীলাঞ্জনা তাঁর ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। প্রসঙ্গত, জন্মদিনে মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন নীলাঞ্জনা। শিবরাত্রি সেখানে কাটিয়ে কলকাতায় ফিরেছেন। আর তারপরই তাঁর নতুন ট্যাটুর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন নীলাঞ্জনা।
সংসার ভাঙার বিষয়টি নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেননি যিশু কিংবা নীলাঞ্জনা। তবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন নীলাঞ্জনা, তার প্রমাণ বহুবার মিলেছে। তবে সব সামলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প করেছেন তিনি। এত বছরের সংসার ভাঙার নেপথ্যের কারণ নিয়ে অনেক কানাঘুষো শোনা যায়। টলিউডের এই হ্যান্ডসাম নায়কের প্রেমে পড়েছেন গুজরাতের কন্যা শিনাল সুর্তি! শুধু প্রেম নয়, মুম্বাইয়ে একসঙ্গে থাকছেনও যিশু ও শিনাল!যিশু সেনগুপ্তর সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন শিনাল। প্রায় ৫ বছর ধরে যিশুর সমস্ত কাজ সামলাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি ডান্স বাংলা ডান্স-এর শ্যুটিংয়েও যিশুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে শিনালকে।
এই মুহূর্তে দুই মেয়ে সারা ও জারাকে নিয়ে গুছিয়ে নিয়েছেন নিজের জীবন। গত বছরেই নিজের নামের থেকে সেনগুপ্ত পদবি মুছে ফেলার পর তারপরই নীলাঞ্জনা একটি পোস্টে লেখেন, ‘সম্পর্কে থাকাকালীন সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা সবচেয়ে অসম্মানজনক কাজ, যা কোনও মানুষ করতে পারে না। যদি তুমি কোনও সম্পর্কে সুখী না থাকো, তা হলে সেটা চুকিয়ে অন্য সম্পর্ক শুরু করো।’ কান পাতলে আরও শোনা যাচ্ছে, কলকাতার বাড়ি ও প্রযোজনা সংস্থার স্বত্ব ইতিমধ্যেই নাকি নীলাঞ্জনার নামেই লিখে দিয়েছেন যিশু। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি দু’জনের কেউই।