পাবলিক ফিগারদের ট্রোলিং হওয়া খুবই বিরক্তিকর একটি বিষয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই তারকাদের এই ধরনের কটুক্তির মুখে পড়তে হয়। কেউ বা জবাব দেন আবার কেউ বা চুপ করে থাকেন। তবে ট্রোলিং থামে না। বলিউড থেকে হলিউড অথবা টলিউড তারকাদের প্রতিনিয়ত এই ট্রোলের সম্মুখীন হতে হয়। কখনও তাঁদের পোশাক নিয়ে, কখনও তাঁদের শরীর নিয়ে আবার কখনও বা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। এবার সেই ট্রোল নিয়েই সাহিত্য আজতক-এর মঞ্চে মুখ খুললেন জিৎ।
অন্যান্য তারকাদের মতো জিৎকেও ট্রোলের মুখে বহুবার পড়তে হয়েছে। এমনকী তাঁর দ্বিতীয়বার বাবা হওয়া নিয়েও লোকে কম খারাপ মন্তব্য করেনি। টলিউড সুপারস্টার জিৎ এই ট্রোলকে কীভাবে সামলান? জিতের কাছে শ্বেতা তিওয়ারির প্রশ্ন ট্রোল কী সহজে হজম করে নেন? অভিনেতা জিৎ এ প্রসঙ্গে বলেন, 'ট্রোলকে এড়িয়ে চলি। বলে না যে সবাইকে যদি খুশি রাখতে চান তাহলে আইসক্রিম বিক্রি করুন। নয় তো সবাইকে খুশি করা মোটেও সম্ভব নয়। যারা আমায় নিয়ে অখুশি আমি চেষ্টা করব আরও পরিশ্রম করে তাঁদের খুশি করার। নয়তো ইগনোর বা এড়িয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।'
সাহিত্য আজতক-এর প্রথমদিনে মঞ্চ কাঁপাতে চলে এসেছিলেন টলিউডের বাদশা অভিনেতা-প্রযোজক জিৎ। আর তাঁর সঙ্গে খোশগল্পে মেতে উঠলেন শ্বেতা তিওয়ারি। পেশা থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সমালোচনা থেকে ট্রোল সবটাই অরপটে জানালেন জিৎ। আর মাঝে মাঝে দর্শকদের মন জয় করলেন তাঁর ডায়ালগ ও গান দিয়ে। টলিউড নিয়েও এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অভিনেতা। তিনি বলেন যে বলিউড-দক্ষিণী ছবির চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে টলিউড।
জিৎ এও বলেন, দক্ষিণের সিনেমাগুলি বেশ কয়েকবছর ধরে ভাল পারফর্ম করছে। কিন্তু সব মিলিয়ে আমাদের বাংলা ইন্ডাস্ট্রিরও সেই যোগ্যতা রয়েছে। এখানেও খুব ভাল ভাল টেকনিশিয়ান রয়েছে, ভাল ভাল প্রতিভা রয়েছে। শুধু সময়ের অপেক্ষা, সময়মতো যদি কিছু চলে আসে, আমরা তো সিনেমা তৈরির বিষয়ে সব সময় এগিয়ে, আগামী দিনে এরকম কিছু হলে আমরাও ভাল সিনেমা নিয়ে আসতে পারব, ভাল পারফর্ম করব। এরপর শ্বেতা বলেন যে একটা সময়ে সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটকের বাংলা সিনেমা রাজ করত ইন্ডাস্ট্রিতে, বর্তমানে সেটা কীভাবে পূরণ হবে? জিৎ এই বিষয়ে বলেন যে একটা সিনেমা আসা দরকার যা সব অভিযোগকে নস্যাৎ করবে। সেই সিনেমা যে কোনও সময় যে কোনও দিক থেকে আসতে পারে।