প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসাবে নয়, বরং নাইট ক্লাবের শিল্পী হিসাবেই শুরু হয়েছিল কেরিয়ার। তবে বিশেষ ধরনের কণ্ঠ বা ভয়েস টেক্সচার প্রথম থেকেই তাঁর পরিচয় আলাদা করে দিয়েছে শ্রোতাদের কাছে। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে শ্রোতাদের মন জয় করছেন তিনি। কথা হচ্ছে, অন্যতম পপ শিল্পী ঊষা উত্থুপকে (Usha Uthup) নিয়ে।
সাহিত্য আজতক কলকাতা ২০২৪ (Sahitya Aajtak Kolkata 2024), সাহিত্য চর্চার এই মহামিলনের আসরে উপস্থিত হয়ে সেই একই মেজাজে মঞ্চ মাতালেন ঊষা। কথায় কথা উঠে এল তাঁর স্ট্রাগল থেকে পেশাদার জীবনের অনেক অজানা গল্প।
সদ্য পদ্মভূষণ সম্মান পেয়েছেন ঊষা উত্থুপ। এপ্রসঙ্গে শিল্পী বলেন, "৫৪ বছর ধরে গান গাইছি, আমি কৃতজ্ঞ। আপনাদের সকলের জন্যই সম্ভব হয়েছে।" তিনি বলেন, কেরিয়ারের শুরুর দিকে কন্ঠস্বর নিয়ে নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তকমা দেওয়া হয় 'আইটেম গার্ল'-র।
নিজের মিউজিক্যাল জার্নির স্মৃতিচারণাও করেন ঊষা। নাইট ক্লাবে গান গেয়েই পেশাদার সঙ্গীত জীবনে পা রাখেন তিনি। শিল্পী এদিন বলেন, "আমি খুব অভাবী পরিবারে বড় হয়েছি। সে সময় আমার কাছে যে পোশাক ছিল সেটা পরেই পৌঁছে গিয়েছিলাম গাইতে। শাড়ি পরে নাইটক্লাবে গান গাইতে গিয়েছিলাম। পার্কস্ট্রিটের পানশালায় যখন প্রথম দেখল এভাবে গাইতে, প্রথমের সাড়িতে বসে থাকা অনেকে বলেছিলেন , 'এই আম্মা কী গাইবে...।' আমি এইসবে মাথা ঘামায়নি তখন।"
ঊষা এদিন বলেন, "আমার পরিবারে সবাই সমালোচক। দুই সন্তান সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করে। আমার নাতনি আমায় প্রথমে বলে 'স্কাইফল' গানটি গাইতে। এরপর সেটা ভাইরাল হয়। আমার মেয়ে প্রথমে 'ফ্লাওয়ার্স' গানটি গেয়েছেন। এরপর আমি গানটি গেয়েছি। দর্শকের জন্যই গানটি ভাইরাল হয়েছে।"
১৯৬৯ সালে ঊষা উত্থুপের যাত্রা শুরু হয়। বলিউডে গান গাওয়া আরও কিছুটা পরে। ঊষা আগে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেন, যখন আর ডি বর্মনের মতো মানুষেরা তাঁর কথা শুনেছিলেন, তখন বেশ অবাক হয়েছিলন। কারণ একজন মাদ্রাসি মেয়ে এভাবে গাইছেন, এটাই তাঁদের অবাক করেছিল। এছাড়া তাঁর বিশেষ ধরনের কণ্ঠও তাঁকে বাকিদের থেকে আলাদা করে দেয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে অবশ্য বলি দুনিয়ায় নিজের জমি মজবুত করেন দক্ষিণী এই শিল্পী।